সুপরিচিত ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রিভো বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করেছে।
ব্র্যান্ডটি ইতোমধ্যে আফ্রিকা অঞ্চলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাকিস্তানে বাজারজাত করার পর এখন বাংলাদেশে ষষ্ঠ দেশ হিসেবে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল উন্মোচন করেছে।
বিশ্ব এখন সবুজ ও স্মার্ট যোগাযোগ সমাধানের দিকে ঝুঁকেছে। ফল যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহারই হয়ে উঠছে ভবিষ্যতের বিকল্প। বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি), বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহন প্রথাগত ইন্টারনাল কমবাশন ইঞ্জিনের (আইসিই) তুলনায় টেকসই ও সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, একটি মোটরসাইকেলের দুই বছরের জ্বালানির খরচের সমান দামে একটি ইলেকট্রিক বাইক হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে গণপরিবহনে দেড় বছর যাতায়াত খরচের অর্থ দিয়ে একটি ইলেকট্রিক বাইক কেনা সম্ভব। সাশ্রয়ী অপারেটিং খরচের সঙ্গে ইলেকট্রিক সব যানবাহনে সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
ব্র্যান্ডটি বিদ্যুৎ চালিত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। উদ্ভাবনী, স্মার্ট ও ভবিষ্যৎবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের কাছে ব্র্যান্ডটি সুপরিচিত। বাংলাদেশে একদম নতুন দুটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল– এ০১ ও সি০৩ মডেলে উন্মোচন করেছে ব্র্যান্ডটি। দুটি মোটরসাইকেল যাতায়াত মাধ্যমে বিপ্লব ঘটানোর সঙ্গে মানুষ ও দেশের জন্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মডেলটি (এ০১) হতে পারে যাতায়াতের নিরাপদ মাধ্যম। যারা নিরাপদ বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল খুঁজছেন, তাদের কথা মাথায় রেখে মডেলটি ডিজাইন করা। মডেলের ৬০ভি ২১ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি ও হাজার ওয়াটের মোটর। ফলে খুব সহজে শহরের মধ্যে ৪৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চালানো যায়। ১২-টিউব, ৩০এ ভেক্টরভিত্তিক কন্ট্রোলার, যার সাহায্যে রাইডার পাবেন অপ্টিমাইজড পারফরম্যান্স।
ব্যাটলশিপ গ্রে, মেটালিক ব্ল্যাক ও পার্ল রেড– তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে মোটরসাইকেলটি। ভ্রমণ নিশ্চিতে রিভো এ০১-মডেলে আছে ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক, রিয়ার ড্রাম ব্রেক ও দুই প্রান্তে হাইড্রোলিক সাসপেনশন।
স্মার্ট রিমোট কন্ট্রোল
অ্যান্টি-থেফ্ট সিস্টেমের ফলে রাইডারদের আর মোটরসাইকেলের নিরাপত্তায় মিলবে বাড়তি সুবিধা। দাম ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা।
অন্যদিকে সি০৩ মডেলে রয়েছে ৭২ভি ৩৫ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি ও দুই হাজার ওয়াটের মোটর। গতি, স্থিতিশীলতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সমন্বয়ে তৈরি এটি। উন্নত ১২-টিউব, ৩০এ ভেক্টরভিত্তিক কন্ট্রোলার (দ্বিতীয় সংস্করণ), সিবিএস (কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম) সিস্টেমের কারণে রাইডাররা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা পাবেন। ১২-ইঞ্চি ভ্যাকুয়াম টায়ার (১১০/৭০-১২), ফ্রন্ট ও রিয়ার ডিস্ক ব্রেকের
ফলে সব জায়গাতেই (উঁচু-নিচু) মসৃণভাবে চালানো যাবে। ব্যাটলশিপ গ্রে ও মেটালিক ব্ল্যাক– দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে মডেলটি।
দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা।