সবার কথা অমান্য করে প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন মাহফুজার রহমান। বিয়ের চার বছর পর ২০০৮ সালে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া যান তিনি। দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর প্রবাস জীবনে অর্জিত সম্পদ পাঠান স্ত্রীর নামে। অবশেষে ১৪ বছর পর দেশে ফিরে জানতে পারেন এতোদিনে সব শেষ।
তার পাঠানো টাকায় কেনা জমি, বাড়ি নিজের নামে করে নিয়ে তাকে তালাক দিয়ে মামাতো ভাইকে বিয়ে করে সংসার করছেন রজনী খাতুন।
মাহফুজার রহমান বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও শাজাহানপুর আমলি আদালতে প্রতারণা এবং দেড় কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীসহ ৮ জনের নামে মামলা করেন তিনি।
মাহফুজার রহমান জানান, প্রায় ১৪ বছর মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পৈত্রিক সম্পত্তি ইজারার টাকাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা তার স্ত্রী রজনীকে দিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি দেশে ফিরে নিজের টাকায় নির্মিত বাড়িতে উঠতে গিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রজনী তাকে তালাক দিয়ে মামাতো ভাই রেজাউল করিমকে বিয়ে করে সেই বাড়িতে বসবাস করছেন।
রজনী খাতুন দাবি করেন মাহফুজার রহমান তাকে কোন কিছুই দেননি। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আবারো বিয়ে করেছি।’
অ্যাডভোকেট উৎপল কুমার বাগচি জানান, মহামান্য আদালত পিবিআইকে মামলার তদন্তভার অর্পণ করে আগামী ১৮ মের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।