বিনোদন জগতের তারকাদের রূপ নিয়েই কারবার। সৌন্দর্য বেচেই পেটের ভাত জোগাড় হয় তাদের। তাই মুখ থেকে পা পর্যন্ত শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একেবারে নিখুঁত হওয়া চাই তাদের। এজন্য প্লাস্টিক সার্জারি করাতেও দ্বিধা করেন না কেউ। কিন্তু নিজের শরীর নিয়ে কাটাছেঁড়ার ফল যে সবসময় ভাল হয় না তার প্রমাণ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পরেও প্লাসিক সার্জারির দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। নাকে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তাঁর ফল যেমনটা আশা করেছিলেন তেমনটা একেবারেই হয়নি। তিনি চেয়েছিলেন এক, আর চিকিৎসক করে রেখেছিলেন আরেক। পুরো নাকটাই বিগড়ে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। এমনকি এর জন্য ‘প্লাস্টিক চোপড়া’ বলেও ট্রোল হতে হত তাঁকে।
নিজের আত্মজীবনী ‘আনফিনিশড’এ প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন এই বড় ভুলের কথা যা এক রকম তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পরেও কেন প্লাসিক সার্জারি করার দরকার পড়েছিল প্রিয়াঙ্কার? নিজের রূপ নিয়ে তিনি খুশি ছিলেন না?
আসলে নিজের শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নাকে অস্ত্রোপচার করার দরকার হয়ে পড়েছিল প্রিয়াঙ্কার। এক পারিবারিক বন্ধুর পরামর্শে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, তাঁর নাকের গহ্বরের মধ্যে একটি ‘পলিপ’ রয়েছে। সেটা অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার দরকার হয়ে পড়েছিল।
কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নাকের ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের পর যখন নিজের নাক দেখেন প্রিয়াঙ্কা তখন তিনি আর তাঁর মা চমকে উঠেছিলেন। তাঁর আসল নাকটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে উড়ে গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার কিছুটা আত্মবিশ্বাসও। বাধ্য হয়ে পলিপেকটমি দিয়ে কোনো রকমে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ‘প্লাস্টিক চোপড়া’ নামটা রয়েই গিয়েছিল তাঁর।