অনেক সময় কোনও মানুষের বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তার ব্যক্তিত্ব, ভবিষ্যৎ বা অতীত ব্যাখ্যা করা হয়। একটি মানুষের মনোভাব, তার চিন্তা-ভাবনার ধরণ কিংবা স্বভাব তার শরীরের বিভিন্ন রেখায়, জন্ম দাগ কিংবা তিল বা আঁচিল ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। আজ জেনে নেওয়া যাক, একটি পুরুষের হাতের গড়ন দেখে কি করে জানা যাবে নারীদের প্রতি তার মনোভাব—
১. যেসব পুরুষের তর্জনীটি অন্যান্য আঙুলের চেয়ে লম্বা তারা সাধারণত ঝগড়ুটে প্রকৃতির হন। নারীদের প্রতি তাদের ব্যবহার হয় রূঢ় এবং হিংসাত্মক। এদের স্ত্রী বা সঙ্গিনীরা সাধারণত এদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।
২. যেসব পুরুষের আঙুলের ডগা স্ফীত তারা অত্যন্ত গোপনীয়তা-প্রিয় হন। বহু কথাই তারা তাদের স্ত্রী বা সঙ্গিনীর কাছ থেকে গোপন রাখেন।
৩. যেসব পুরুষের হাতের তর্জনী ও অনামিকা অর্থাৎ প্রথম ও তৃতীয় আঙুলের দৈর্ঘ্য এক রকমের তাদের চরিত্রে বিশেষ কিছু গুণ থাকে যার জোরে অতি অল্প আয়াসে তারা নারীদের মন জয় করে নিতে পারেন। এরা নারীদের সঙ্গে খুবই বিনীত ও ভদ্রভাবে মেলামেশা করেন ও পরিকল্পিত ভাবে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু নারীদের কাছে যাওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্যটি এরা সুকৌশলে গোপন রাখেন।
৪. যাদের অনামিকা অর্থাৎ হাতের তৃতীয় আঙুলের দৈর্ঘ্য অন্যান্য আঙুলের চেয়ে বেশি, তারা সাধারণত উগ্র স্বভাবের হন। এদের দাম্পত্য জীবন বা প্রেম জীবন একেবারেই সুখের হয় না। এবং এদের স্ত্রী বা প্রেমিকারা কখনওই শান্তি পান না।
৫. যেসব পুরুষের আঙুলের গাঁটের উপরের অংশে ঘন পুরু লোম থাকে তাদের নারী-ভাগ্য অপেক্ষাকৃত খারাপ হয়। অনেক সময়েই উপযুক্ত সঙ্গিনী পাওয়ার জন্য অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।
৬. যেসব পুরুষের হাতের আঙুল সরু ও লম্বা তারা নারীদের বিষয়ে অত্যন্ত ভাগ্যবান। এরা সহজেই নিজেদের উপযুক্ত সঙ্গিনীকে খুঁজে পান এবং তার সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করেন।