অতীতে কুসংস্কার ও অশিক্ষার কারণে নারীকেই বন্ধ্যাত্বের দায়ভার বহন করতে হতো। কিন্তু বর্তমান আধুনিক গবেষণা ও বিজ্ঞান বুঝিয়েছে, নারী-পুরুষ সমানভাবে বন্ধ্যাত্বের অংশীদার। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের কারণ হন পুরুষরাও।
চিকিৎসকদের দাবি, বর্তমান জীবনযাত্রা মহিলা বা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার জন্যই দায়ী। খাদ্যাভ্যাসের জটিলতা, মাত্রাতিরিক্ত শারীরিক, মানসিক চাপ এসবের প্রকোপে এই সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
ওজন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই একটি বিষয়কে কিছুতেই নজরে রাখি না আমরা। খুব কম বা খুব বেশি ওজন, প্রজনন ক্ষমতার প্রধান অন্তরায়। উচ্চতা অনুযায়ী তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন প্রথম থেকেই। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করুন।
খাদ্যাভ্যাস
সময়ে খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম, এই দু’টিকে যত অবহেলা করবেন, ততই বাবা হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার রাখুন পাতে। যেমন- মাছ, আমন্ড, মৌসুমী ফল, শাক-সবজি, প্রচুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার। ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন এই প্রতিবন্ধকতা কমায়, তেমনই দই, দুধ জাতীয় খাবারের ভিটামিন ই-ও এই সমস্যা দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এড়িয়ে চলুন ঝাল-মশলার খাবার।
শরীরচর্চা
যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করবে তেমনই শরীরের পুরুষ হরমোনগুলির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ব্যায়াম। তাই ফিজিকাল ট্রেনারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করুন। সবসময় যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়, বাড়িতেও করতে পারেন শারীরিক কসরত।
চিকিৎসা
কেবল বন্ধ্যাত্বের জন্য চিকিৎসকের শরণ নেওয়াই নয়, ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, হাইপারটেনশন অর্থাৎ লাইফস্টাইল ডিজিজ থাকলে তার উপযুক্ত চিকিৎসা করান, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নিয়ম মেনে সেসব আয়ত্তে রাখুন সব সময়।
এছাড়াও অব্যশই ধূমপান, মদ্যপান, এক টানা বসে থাকা, রাত জাগার মতো বদভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে, মানসিক চাপমুক্ত সুস্থ জীবন ধারণ করার চেষ্টা করতে হবে।