একটি সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে দুই পক্ষেরই পরিশ্রম করতে হয়। একজনের চেষ্টায় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। পৃথিবীর সবাই এক না। তাই সবাই এক উপায়ে সম্পর্ক বজাইয় রাখবে না। সবার ধরণ আলাদা। কিন্তু সময় সম্পর্কে এমন একটি সময় আসে যখন মনে হতে পারে যে, সংযোগটি চালিয়ে যাওয়া যাবে কিনা। কোনো সম্পর্ক শেষ করার আগে চিন্তা করুন। আরও একবার চেষ্টা করুন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার। এ জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিন। সহজেই হার মানবেন না।
খোলামেলা এবং সৎ যোগাযোগ
যোগাযোগ যেকোনো সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি। আপনার সঙ্গীর সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলুন। সৎ কথোপকথনে জড়িত থাকুন। আপনার উদ্বেগ, প্রয়োজন এবং আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করুন। একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি মন দিয়ে শুনুন। সমাধান খুঁজতে একসাথে কাজ করুন।
রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং
সম্পর্ক ভাঙ্গার আগে থেরাপিস্টের শরনাপন্ন হন। তারা সম্পর্ক উন্নত করতে আপনাকে কাউন্সেলিং করবে। আপনার সঙ্গীর সাথে অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলোর সমাধান সিয়ে থাকবে। তারা গঠনমূলক আলোচনাকে সহজতর করতে পারে।
কোয়ালিটি টাইম
কিছু কিছু সম্পর্ক মানসম্মত সময়ের অভাবে ভেঙ্গে যায়। এতে সংবেদনশীল সংযোগ হারিয়ে যায়। যার কারণে সম্পর্কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এমন ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকুন যা, দুইজনই উপভোগ করেন।
আত্ম-প্রতিফলন
আত্ম-প্রতিফলন যে কোনও সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক। নিজেকে মূল্যায়ন করার জন্য সময় নিন। সম্পর্কের মাঝে সমস্যাগুলো সমাধান করুন। নিজের সুস্থতা উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করুন। যা আপনার এবং আপনার সঙ্গীর মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/gharer-jontrona/
সমঝোতা
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টা এবং সমঝোতা প্রয়োজন। একে অপরের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চান। সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিন। সমঝোতার অভাব থাকলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন।