সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ–ভারত। গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে হেরে ৩ ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা। সিরিজে ফেরার ম্যাচের আগের দিন জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। অথচ সাবেক অধিনায়ক অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকাতে।
গতকাল অবসরের বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-২০ থেকে অবসর নেব। এ সফরে আসার আগেই আমি ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এ সংস্করণ থেকে সরে ওয়ানডেতে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের টি-২০ বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’
সাবেক অধিনায়কের ঘোষণায় পঞ্চ পাণ্ডবের আরও একজনের ক্যারিয়ারের যতি পড়ছে টি-২০ ক্রিকেটে। অবশ্য দিল্লি নয়, হয়তো হায়দরাবাদেই ক্যারিয়ারের শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলবেন ১৩৯ টি-২০ ম্যাচে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইকরেটে ২৩৯৫ রান করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদুল্লাহর। এখন অবধি ১৩৯টি ম্যাচ খেলে ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেট ও ২৩.৪৮ ২ হাজার ৩৯৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন রিয়াদ।
তার ক্যারিয়ারে কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাহ আলহামদুলিল্লাহ, আমার কোনো আক্ষেপ নাই। আমার এক ফোঁটাও আক্ষেপ নাই কারণ বাংলাদেশ দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলা খুবই ভালো ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য।’
‘আমি যতটুকু খেলেছি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, সম্ভবত ২০০৭ সালে আমার অভিষেক হয়েছে, আর এখন ২০২৪ সাল, ১৭ বছর। আমি জানি না কতটুকু ভালো করতে পেরেছি বা আমি কতটুকু করেছি দলের জন্য। কিন্তু আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দলকে সেবা দিতে।’
২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর খুব কাছাকাছি ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ম্যাচে ৩ বলে ২ রান করতে পারেনি তারা। তিন বলেই উইকেট যায়, এর মধ্যে ছিলেন রিয়াদও। ওই ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের হতাশার বলে জানিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সঙ্গে জানিয়েছেন সেরা মুহূর্তের কথাও।
তিনি বলেন, ‘হতাশাজনক মুহূর্ত বললে আমি বলবো ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। ওটা আমার অন্যতম হতাশার মুহূর্ত। সম্ভবত আমার জীবন বদলে দেওয়া মুহূর্ত। আমি মনে করি আমার জন্য অনেক বড় শিক্ষা ছিলো সেটা। আর সেরা মুহূর্ত সম্ভবত নিদাহাস ট্রফি। যে ম্যাচটা আমরা জিতলাম। ওটা আমার সেরা মুহূর্ত।’