বর্তমান টেনিসের দুই তারকা তারা। চলমান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হলেই বেশি খুশি হতেন ভক্ত-দর্শকরা। কিন্তু নোভাক জোকোভিচ ও কার্লোস আলকারাজের দেখা হয়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনালেই। সে হিসেবে বলা যায়, মেলবোর্নের রোড ল্যাভর অ্যারেনায় আজ মঙ্গলবারই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচটি দেখে ফেলেছেন ভক্তরা।
দর্শকদের দুর্দান্ত এক ম্যাচ উপহার দিয়েছেন জোকোভিচ ও আলকারাজ। তবে শেষ হাসি ফুটেছে বর্তমানের টেনিস তারকা জোকোভিচের মুখে। ভবিষ্যৎ তারকা আলকারাজকে হারিয়ে সেমিতে নাম লিখিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ।
শেষ চারে জায়গা করে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৫তম গ্র্যান্ডস্লামের দিকে ছুটছেন জোকোভিচ। অন্যদিকে ৪টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপাধারী ২১ বছর বয়সী আলকারাজের বিদায় হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। এতে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ক্যারিয়ার গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সুযোগ মিস করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার ছেলেদের এককে আলকারাজকে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে সেমিতে উঠলেন জোকোভিচ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জার্মানির আলেক্সান্দার জভেরভের মুখোমুখি হবেন তিনি।
ম্যাচের প্রথম সেট শেষ হওয়ার পর বাঁ পায়ের ওপরের দিকে ব্যথা অনুভব করছিলেন জোকোভিচ। টেনিস কোর্ট থেকে বের হওয়ার তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইনজুরিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান সার্বিয়ান কিংবদন্তি। পরের তিন সেটেই স্প্যানিশ আলকারাজকে হারান তিনি।
ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন, ‘সম্ভবত এটি টুর্নামেন্টের পুরুষদের ম্যাচগুলোর সেরা একটি ছিল। এটা কোনো স্ল্যামের ফাইনালের মতো মনে হয়েছিল এবং আমি চাই এটা হোক। আমরা দুজনেই আমাদের সবটা দিয়েছিলাম।’
ছেলেদের এককে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন জোকোভিচ। এর মধ্যে ১০ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ৭ বার উইম্বলডন, ৪ বার ইউএস ওপেন ও ৩ বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন।
অন্যদিকে আলকারাজ একবার করে ইউএস ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন। আর উইম্বলডন জিতেছেন দুইবার।