সৎ, নীতিবান ও নেতৃত্বের অনন্য গুণাবলিসম্পন্ন অফিসাররা উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ‘সেনা সদর নির্বাচনি পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রথম পর্বের এ পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতি পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এ সময় তিনি জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবাইকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সব বীর সেনানীকেও স্মরণ করেন, যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে নির্বাচনি পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন। তাছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যেসব অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেসব অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলে সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাঁকে স্বাগত জানান। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনি পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।