বলিউডের বাদশা নামে পরিচিত শাহরুখ খানের জীবন একটি খোলা বইয়ের মত যা তার ভক্তরা সবাই পড়েছেন। শাহরুখ খানের কেরিয়ার শুরু করা থেকে তার বিয়ে পর্যন্ত সকলেরই জানা। তবে এই প্রতিবেদনে অভিনেতার মায়ের সম্পর্কিত একটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছে যা আপনাকে কিছুটা অবাক করবে।
শাহরুখ যখন খুব ছোট ছিলেন তখন তার বাবা মারা যান। এর ঠিক ১০ বছর পর তার মাকেও হারান। তার মায়ের মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত একটি তথ্য রয়েছে, যা শাহরুখ ‘দ্যা অনুপম খের শো’ (The Anupam Kher Show)-তে বলেছিলেন, কিভাবে অভিনেতা তার মাকে শেষ মুহূর্তে কষ্ট দিয়েছিলেন।
অনুপম খেরের শো-তে কথোপকথনের সময় শাহরুখ জানান, পাপা মারা গিয়েছিল ১৯৮১ সালে এবং মায়ের মৃত্যু হয় ১৯৯১ সালে। এই ১০ বছরে মা আমাদের পড়াতে ও বড় করতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমরা জানতে পারি তিনি আমাদের পড়াতে কত ঋণ নিয়েছেন। আমাদের মা খুবই সুস্থ ছিলেন কিন্তু হঠাৎ একদিন পায়ে তার ব্যথা শুরু হয়।
মাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে বলা হয় তার ডায়াবেটিস আছে এবং এর দেড় মাসের মধ্যেই তিনি মারা যান। আমার মা দিল্লির বাত্রা হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। এই সময় কাউকে আইসিইউতে যেতে দেওয়া হত না। তখন আমাকে একজন বলে তুমি নামাজ পড়ো, যতক্ষণ নামাজ পড়বে ঈশ্বর তোমার কথা শুনবে। সেই কথা শুনে আমি প্রার্থনা করা শুরু করলাম।
এরপর ডাক্তার এসে বললেন, এবার তুমি আইসিইউতে যেতে পারো। আসলে তখনকার দিনে খুব কাছের কেউ মারা গেলে ডাক্তারেরা এমন কথায় বলতো। কিন্তু আমি যাইনি, মা সুস্থ হয়ে উঠবে ভেবে আমি প্রার্থনা করতে থাকলাম। তখন আমার বোন আমাকে বলল, এবার তুমি যাও। তখন আমি ভিতরে গিয়ে খুব অন্যায় করি।
আমি মাকে বলতে থাকলাম তুমি চলে গেলে, আমি আমার বোনের দায়িত্ব নেব না, পড়াশোনা করব না… আমি তাকে কষ্ট দিয়েছি এই ভেবে সে যদি সন্তুষ্ট না হয়, তবে সে এই পৃথিবী ছেড়ে যাবে না। কারন আমার বিশ্বাস ছিল, কেউ সন্তুষ্ট হলে তবেই চলে যায়। কিন্তু এইসব আমার ছেলেমানুষী ছিল। তাকে যেতেই হয়েছিল।