প্রবীণরা শিশুদের মতই নাজুক। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই তাঁদের জন্যও চাই বিরূপ আবহাওয়ায় বাড়তি যত্ন।
১. শীতে প্রবীণরা ফ্লুতে আক্রান্ত হয় সহজে। ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। তাই বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঠান্ডা না লাগে। সোয়েটার, জ্যাকেট বা শীতের কাপড় যেন পর্যাপ্ত পরিধান করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাইরে গেলে মাফলার, কানটুপি পরতে হবে। ফ্লু হলে বিশ্রামে থকতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার, ফলের রস ও প্রচুর পানি পান করতে হবে।
২. শীতে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। যাঁরা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাঁরা যেন নিয়মিত ব্যবহার করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. প্রবীণদের ত্বক তরুণদের তুলনায় বেশি শুষ্ক থাকে। এই শুষ্কতা শীতে আরো বাড়ে। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করবেন। এই সময়ে প্রবীণদের ত্বক ফাটা, পা ফাটা প্রভৃতি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলিতে নিরাময় না হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. শীতে চুলে খুশকি বেড়ে যায়। প্রবীণদের ত্বকের শুষ্কতা খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। কিটোকোনাজল রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫. শীতে বিভিন্ন ধরনের বাত ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীরা তাই এ সময় সাবধানে থাকবেন। কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে এসব ব্যথা থেকে উপশম হয়।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/cokher-niche-folavab/
৬. শীতে প্রবীণদের টাটকা শাকসবজি খেতে দিতে হবে। হালকা ব্যয়াম বা হাঁটাচলায় উৎসাহিত করতে হবে। দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে বসে কাটালে ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বসিস’ বা ‘শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা’ রোগ হতে পারে। কিছুক্ষণ পরপর একটু হাঁটাহাঁটি, নড়াচড়া, খালি হাতে ব্যয়াম ডিভিটি প্রতিরোধ করে।
সর্বোপরি প্রবীণদের সময় দিতে হবে। কথা বলতে হবে তাঁদের সঙ্গে। সম্ভব হলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। এতে মন ভালো থাকবে তাঁদের।