ধূমপানের জন্যে আর্সেনিক, অ্যামোনিয়া, ডিডিটি, অ্যাসিটোন, ক্যাডমিয়াম, নিকোটিন-সহ প্রায় ৭,০০০ বিষাক্ত জিনিস শরীরে প্রবেশ করে।এদের ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মোনো-অক্সাইড শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নানা রোগ ডেকে আনে
মুখ, গলা, ফুসফুস, শ্বাসনালী, খাদ্যনালী, পাকস্থলী এমনকি ইউরিনারি ব্লাডারে ক্যানসারের এক বড় কারণ সিগারেট- বিড়িতে উপস্থিত বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়ানিক।আমাদের দেশে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন মানুষ মারা যান।স্রেফ ধূমপানের কারণেই
পরোক্ষ ভাবে ধূমপানের শিকার হয়ে বছরে ৬ লক্ষ মানুষ মারা যান। সিগারেট-বিড়িই হোক, কিংবা চুরুট-হুঁকো— সবই সমানভাবে ক্ষতিকর।তবে বিড়িতে আস্তরণ বা ফিল্টার থাকে না, তাই ধূমপানের সময় বেশি ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করে।কম খরচের কারণে কম আয়ের ব্যক্তিদের মধ্যে বিড়ি জনপ্রিয়।একটি গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, উভয়ই সমান ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়।কিন্তু তামাকের চারপাশে পাতা মুড়িয়ে তৈরি করা বিড়ি, পোড়ালে আরও ধোঁয়া তৈরি হয়।
ধূমপায়ীরা, ধূমপানের সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে।যার ফলে ফুসফুসের আরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিড়িতে সিগারেটের চেয়ে চারগুণ কম তামাক থাকা সত্ত্বেও, সেই পরিমাণ তামাক মানুষের আয়ুক্ষয় করে।
জানেন কি, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল ধূমপান।চোখের সমস্যা ও অকালে ছানি পড়া এবং রেটিনার অসুখের কারণ বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়া।
যারা দিনে ২০টি বা তারও বেশি সিগারেট টানেন, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি এক জন অধূমপায়ীর থেকে ৭০% বেশি।এদের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পেরিফেরাল ভাস্ক্যুলার ডিজিজের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।এই অসুখে পায়ের রক্তবাহী ধমনী সরু হয়ে গিয়ে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় হাঁটাচলা করলেই পায়ে ব্যথা হয়।
সুতরাং মনের জোর রেখে ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই হল এর কুপ্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করা। ব্যপারটা একটু কষ্টকর হলেও অসম্ভব নয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ইচ্ছেশক্তি ধূমপানের মতো অভ্যাসকেও দূর করতে পারে।