কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব চন্দ্র দাসকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিপ্লব চন্দ্র দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৬ সালের আগস্টের প্রথম প্রহরে খুন হওয়া একই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোটবাড়ীর গন্ধমতি এলাকা থেকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তাকে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রহিম বলেন, ‘খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি এবং জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের ওপর নিযার্তনকারী ঘাতক বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি৷ এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। ক্যাম্পাসে যত সন্ত্রাসী আছে, স্বৈরাচারের যত দোসর আছে অতি শিগগিরই ক্রমান্বয়ে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে। আমরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবো না।’
কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আটক করে আমাদের ফোন দেয়। পরে আমাদের সদস্যরা গিয়ে তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।’
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সাজ্জাদ করিম খান বলেন, ‘বিপ্লব ২৯ নম্বর মামলার আসামি। সেই প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তবে এই মামলা কবে করা হয়েছে, কোন ধারায় করা হয়েছে, বাদী কে; সে সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশ দাস এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তানি মসজিদের সামনে থেকে এস কে মাসুম নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।