বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিয়ের সংজ্ঞার পার্থক্য থাকলেও সাধারণভাবে তা এমন একটি সম্পর্ক যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌ’ন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।
ইসলামে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন—১. বিয়ে বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন ২. প্রস্তাব ও সম্মতি ৩. দুজন (পুরুষ) ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকা। উল্লেখিত সকল শর্তের কোনো একটি অপূরণ থাকলে ওই বিয়ে শুদ্ধ হবে না।
কিন্তু সকল শর্ত মেনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তালাক ছাড়া সাধারণত ওই বিয়ে বাতিল হয় না। স’হ’বা’স না করা বা আলাদা থাকা বিয়ে বাতিলের কারণ নয়। বরং তাদের মধ্যে যখনই সম্ভব দেখা-সাক্ষাৎ, স’হ’বা’স সবই জায়েজ।
তবে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অভিভাবককে না জানিয়ে মেয়ে কুফু ছাড়াই বিয়ে করেছে। এ অবস্থায় মেয়ের বাবার অধিকার থাকে, সেই বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার। কিন্তু কুফুতে বিয়ে করলে সেই বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার অধিকার তিনিও পান না। ইসলামে কুফু হলো- বিয়েতে সমতাবিধান।
স্বামী-স্ত্রীর প্রশান্তি ও উভয়ের মিলমিশের পথে বাধা সৃষ্টির কারণগুলোকে চিহ্নিত করে কুফু দেখা হয়। যেমন- মুসলিম মেয়েকে অমুসলিমের কাছে বিয়ে দেওয়া যেতে পারে না। মুমিন ও পাপাচারী সমান নয়। অতি ধনীর সাথে অতি গরিবও কুফু নয়। কেননা এতে সংসারে তিক্ততা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবার বংশ মর্যাদার ব্যাপক পার্থক্যও কুফুর বিপরীত।
এসব বিবেচনায় বিয়ে ভেঙে দিতে পারেন মেয়ের অভিভাবক, যদি তার অজান্তে মেয়ে বিয়ে করে থাকেন। (সূত্র- মুয়াত্তা মালেক: ২০৪০; হেদায়া, কিতাবুত তালাক: ২/৪০২; দুররুল মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার: ৫/৩০৬)