সামাজিক চাপে সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব না বাড়িয়ে তার পাশে সহায় হিসেবে দাঁড়ানোর কাজ করুন । সন্তান প্রত্যাশামাফিক ফলাফল অর্জন না করলে তারা মন খারাপ করেন। সন্তানকে বকুনি দেন। বকুনি খেলে সন্তানের মন খারাপ হয়। এমনিতেই আমাদের দেশে সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার একটা দূরত্ব থাকে।
সেখানে পাবলিক পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রত্যাশায় সবচেয়ে বেশি চাপে থাকে সন্তানরা। আমাদের মা-বাবাদের এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। মা-বাবার চাপে যেন সন্তানরা মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, ফলাফল সংক্রান্ত চাপে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত না নেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন।
পাবলিক পরীক্ষার ফল নানা কারণে খারাপ হতে পারে, এটা জীবনের অংশ হিসেবে মনে করুন। আগামী পরীক্ষায় আপনার সন্তান যেন ভালো করে সে জন্য তাকে উৎসাহ দিন।
ফলাফল নিয়ে বারবার সন্তানকে কথা শোনানো যাবে না। এমনিতেই ফল খারাপ বা প্রত্যাশিত না হওয়ার জন্য সন্তানের ওপর চাপ আছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে তার পাশে দাঁড়ান।
প্রতিবেশী বা অন্যের সন্তানের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করে চাপ প্রয়োগ করবেন না। সন্তানের যে ফলাফলই হোক না কেন, তার পাশে আছেন―এটা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
সন্তান কোনো কারণে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন। আত্মহত্যা বা অন্য কোনো নেতিবাচক পথে যেন পা না বাড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ভবিষ্যতে সন্তানকে এমন সংকটে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কৌশল শেখানোর চেষ্টা করুন। জীবন পাবলিক পরীক্ষার চেয়ে বড়―এ বিষয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
সন্তানের ফলাফলের কারণে সমাজের কাছ থেকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হন মা-বাবারা। এ ক্ষেত্রে সন্তানকে আগে গুরুত্ব দিন। নিজেকে ইতিবাচকভাবে সন্তানের জন্য তৈরি করুন। আপনার প্রত্যাশার ভার সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। নিজের রাগ-অভিমান নিয়ন্ত্রণের কৌশল আয়ত্ত করুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0/
যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত রাখার কৌশল আয়ত্ত করুন। সামাজিক চাপে সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব না বাড়িয়ে তার পাশে সহায় হিসেবে দাঁড়ান।