সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-জ্বর এক ধরনের ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ যা মানবদেহের ঊর্ধ্ব শ্বাসপথ, বিশেষ করে নাকে আক্রমণ করে। মধু উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। এতে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। আর সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় মধু কিন্তু মহৌষধির সমান! কারণ, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে মারতে সিদ্ধহস্ত। তাই তো যুগের পর যুগ ধরে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় মধু ব্যবহার হয়ে আসছে। এমনকী আজও এই ভেষজ উপাদানের গুণেই একাধিক মানুষ অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য ছাড়াই এইসব সমস্যার ফাঁদ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু মুশকিল হলো, সঠিক উপায়ে এই ভেষজ সেবন না করলে উপকার মিলবে না। চলুন খাওয়ার সঠিক উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খান
ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলে এক গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ঠান্ডা হয়ে এলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে চট করে খেয়ে নিতে হবে। ব্যস, তাহলেই উপকার মিলবে। কমবে সর্দি, কাশির প্রকোপ। এমনকী আপনার বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে যেতেও সময় লাগবে না।
চায়ের সঙ্গে মধু
এক কাপ চায়ে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। ব্যস, তাহলেই সর্দি, কাশি নিপাত যাবে। কারণ মধুর পাশাপাশি চা এবং লেবুরও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এফেক্ট রয়েছে যা কিনা এইসব সমস্যা কমানোর কাজে দ্রুত মতো কাজ করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলে এই পানীয়ের কাপে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন।
তুলসীর সঙ্গে মধু
সকালবেলায় কয়েকটি টাটকা তুলসী পাতা এক চামচ মধুতে মিশিয়ে টুক করে গিলে নিতে পারেন। কিংবা তুলসী পাতার রস করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে গলায় ঢালুন। সর্দি, কাশির মতো সমস্যা আর পিছু নিতে পারবে না। এমনকী বাড়বে আপনার ইমিউনিটিও।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/
মধু ও আদা
একটা ছোট আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর সেই টুকরোগুলো এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। কিংবা এই মিশ্রণ পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। তাতেই কমবে কাশির প্রকোপ। উঠে আসবে বুকে জমে থাকা কফ।