শ্রীলঙ্কা ভারত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপ। দেশটি পূর্বে সিলন নামে পরিচিত ছিল। প্রাচীন সভ্যতা, সোনালি বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, পর্বত এবং রাবার ও চা বাগানের জন্য দেশটি সুপরিচিত। এখানে পর্তুগিজ, ডাচ এবং ইংরেজদের শাসনের দিন থেকে ঔপনিবেশিক স্থাপত্য পর্যন্ত দেখতে পারবেন। প্রচুর হাতিদের দেখাও মিলবে যার মধ্যে কিছু স্থানীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে। শ্রীলঙ্কায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য সেরা জায়গাগুলো আসুন জেনে নেই-
১. ক্যান্ডি
শ্রীলঙ্কার একটি প্রধান শহর হলো ক্যান্ডি। পর্যটনদের জনপ্রিয় গন্তব্য এবং দেশের সাংস্কৃতিক ত্রিভুজের এক কোণ এই জায়গা। রেইনফরেস্ট এবং চা বাগানের পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এবং এই শহরে একটি সুন্দর হ্রদও রয়েছে। টেম্পল অফ দ্য টুথ- পবিত্র মন্দির, যেখানে বুদ্ধের দাঁত রয়েছে সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন। শহরের রঙিন রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো থেকে রাস্তার বিক্রেতার কাছ থেকে খাবার নেওয়ার সময় স্থাপত্যের প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন। লেকের চারপাশে হেঁটে বেড়াতে পারেন। শহরের বাইরে অবস্থিত পেরাডেনিয়া রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এর অর্কিড হাউসেও ঘুরে দেখতে পারেন।
২. সিগিরিয়া
সিগিরিয়া একটি বিশাল শিলা। কাঠামোর পাশাপাশি এটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পঞ্চম শতাব্দীর একটি দুর্গ এবং প্রাসাদ ছিল যেটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। এক ধরনের সিঁড়ির মাধ্যমে পাথরের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। মাঝপথে চারপাশের মনোরম দৃশ্য, পাথরের দেয়ালে সন্ন্যাসীদের আঁকা প্রাচীন শিল্প পার করবেন এবং সেকালের রাজ্য সম্পর্কেও জানতে পারবেন যা রক হোম বলে পরিচিত। পর্বতহারণের সবচেয়ে ভালো সময় হলো একদম ভোরবেলা। তখন পুরোটা ঘুরে দেখতে পারবেন।
৩. কলম্বো
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বেশ কিছু ঐতিহাসিক পাড়া রয়েছে যা পুরাতন। প্রাচীন মন্দির এবং ঔপনিবেশিক স্থাপত্য, আকাশচুম্বী ভবন এবং শহরের উদ্যানগুলো দর্শনীয়। এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় স্থাপত্যের দৃশ্য যা পর্যটকদের একবার হলেও দেখা উচিত। তীর্থ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে জামি উল-আলফার মসজিদ, কলম্বোর পেত্তাহ এলাকার একটি লাল এবং সাদা মসজিদ। পর্যটকদের অবশ্যই যথাযথভাবে পোশাক পরে এবং নারীদের চুল, হাত এবং পা ঢেকে রেখে যেতে হবে।
৪. মিরিসা
দেশের অন্যতম প্রধান সমুদ্র সৈকত গন্তব্য হিসাবে পরিচিত মিরিসা। যারা শান্ত, অবসর সময়ে বালির উপর দিন কাটাতে এবং শহরের বাইরে রাত্রিযাপনের সুযোগ খুঁজছেন তদের অবশ্যই এখানে যাওয়া উচিত। সেখানকার সৈকতগুলোর মধ্যে মিরিসা বিচ এবং সিক্রেট বিচ সৌন্দর্য এবং নির্জনতার জন্য সেরা, কিন্তু কোনটিতেই খুব বেশি ভিড় হয় না। আপনি যদি পানির উপরে ভেসে থাকতে চান তবে মিরিসা হতে পারে বালুচরের স্বর্গ, বিশেষত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নীল তিমি দেখার জন্যে শ্রেয় এই সময়। কিছু সুন্দর রেস্তোরাঁ আছে বিচের ধারে সন্ধ্যায় সেগুলোতেও যেতে পারবেন।
কফি নাকি গ্রিন টি, কোনটা খাবেন?
৫. পোলোন্নারুয়া
সাংস্কৃতিক ত্রিভুজের তৃতীয় কোণ ছিল অনুরাধাপুরা যা পরিত্যক্ত হওয়ায় পোলোনারুয়া দ্বিতীয় রাজধানী হয়ে ওঠে। অনুরাধাপুরার মতো পোলোনারুওয়া শহরের ইতিহাস এবং ধ্বংসাবশেষ, রাজপ্রাসাদ এবং অন্যান্য রাজকীয় স্থান, চতুর্ভুজ (স্মৃতি ও বুদ্ধ মূর্তিগুলির একটি প্রাচীর ঘেরা এলাকা) পর্যটকদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ। এখানে টোক ম্যাকাক নামক বানরের দেখা পাবেন।