প্রশ্ন করা হলো আইডি এবং পাসওয়ার্ড ছাড়া অনলাইনে কোন পোর্টাল বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন? তাও কিন্তু না! ইন্টারনেটে অবাদ বিচরণ করা যায় না। এর জন্য রয়েছে কিছু নীতিমালা। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর পরিচয় এবং Password। আপনি ইচ্ছে করলেই কিন্তু কারো ইমেইল অ্যাকাউন্ট বা সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি প্রবেশ করে কোন প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবেন না। প্রতিটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা নিরাপত্তায় ব্যবহৃত আইডি বা ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড। এই তথ্যগুলো প্রদান করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করে থাকি।
দৈনন্দিন আমরা যে ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করি সেইগুলো অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই সরাসরি কোন আন্তর্জাতিক শব্দ ব্যবহার করা যাবে না বা কোন সরাসরি কোড ব্যবহার না করাই উচিত। যদি পাসওয়ার্ড দিতেই চান তাহলে সেটা অবশ্যই নম্বর, নাম এবং চিহ্ন দিয়ে তৈরি করবেন। সাধারণত পাসওয়ার্ড ৮ অক্ষর (ডিজিট, লেটার, চিহ্ন) দিতে হয়। তবে আপনি এর অধিক অক্ষর দিয়েও পাসওয়ার্ড করতে পারেন।
আজকে আমাদের ব্লগটি শুরু করেছি কিভাবে শক্তিশালী Password তৈরি করবেন। অর্থ্যাৎ পারে। আইডি বা ইমেইল উন্মুক্ত থাকে এতে নিরাপত্তাজনিত কোন চাহিদা নেই। তবে যেহেতু ইমেইল আইডি বা পাসওয়ার্ডটি সচারচর উন্মুক্ত থাকে তাই যথাসম্ভব ছোট এবং সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পাসওয়ার্ড তৈরির সময় অর্থাৎ সেট করার ক্ষেত্রে আমরা অজান্তেই কিছু ভুল করে ফেলি। কীভাবে একটা স্ট্রং পাসওয়ার্ড সেট করবেন? কী কী ভুল করবেন না- সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
যেকোনও স্মার্টফোন হোক বা অন্যান্য ডিভাইস, কিংবা অনলাইনে শপিং সাইটের অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অ্যাকাউন্ট- এই সবকিছুই সুরক্ষিত রাখার প্রথম ধাপ হল একটি ঠিকঠাক পাসওয়ার্ড সেট করা।
কিন্তু আমরা অনেকেই পাসওয়ার্ড সেট করার সময় অজান্তে কিছু ভুল করে ফেলি। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ট্রং পাসওয়ার্ড কীভাবে সেট করবেন এবং কী কী ভুল একেবারেই করা চলবে না।
নাম, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখ – এইসব সাধারণ তথ্য যা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য – এগুলো দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা উচিত নয়। কারণ হ্যাকাররা এইসব তথ্য সহজে হাতিয়ে নিতে পারে। অতএব পাসওয়ার্ড সেট করার সময় নিজের নাম, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখ এইসব তথ্য এড়িয়ে চলা মঙ্গলের।
শক্তিশালী বা স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে চাইলে তার মধ্যে ব্যবহার করুন ক্যারেক্টার। অর্থাৎ @, # – এই জাতীয় ক্যারেক্টার ব্যবহার করতে হবে। সংখ্যার সঙ্গে অক্ষর মিলিয়ে মিশিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা প্রয়োজন। তাহলে হ্যাকাররা সহজে আপনার পাসওয়ার্ডের হদিশ পাবে না। ব্লক লেটার, স্মল লেটার ব্যবহার করতে পারেন পাসওয়ার্ডে। ব্যবহার করতে পারেন একটু অজানা, অচেনা শব্দ।
সর্বত্র একই পাসওয়ার্ড রাখবেন না। ইউজাররা মনে রাখার সুবিধার জন্য একই পাসওয়ার্ড একাধিক মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এমনটা করা উচিত নয়। আগে ব্যবহার হয়েছে এমন পাসওয়ার্ড আর ব্যবহার না করাই ভাল।
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে তা রিট্রিভ করার বা ফিরে পাওয়া যায়। অনেকসময়েই এক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্ন বেছে রাখা হয়। এই প্রশ্ন খুব সহজ ভাবে তৈরি না করাই ভাল।
খুব জটিল পাসওয়ার্ড দিলে আপনি ভুলে জেতে পারেন। তাই নিজে মনে রাখতে পারবেন এমন পাসওয়ার্ড সেট করুন। প্রয়োজনে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকবে এমন জায়গায় সব পাসওয়ার্ড লিখে রাখতে পারেন।
যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অতএব পাসওয়ার্ড সেট করার বিষয়ে সাবধান থাকুন। কারণ হ্যাকারদের হাতে আপনার পাসওয়ার্ড পৌঁছলে বিপদে পড়বেন আপনি। স্ট্রং অর্থাৎ শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করতে পারলে ইউজার বেশি সুরক্ষিত থাকবেন। নিজের পাসওয়ার্ড কারও সঙ্গেই শেয়ার করবেন না।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%ab%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a7%8d/
উল্লিখিত কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করলে আপনি একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারবেন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।