একটা বয়স পেরোলেই পুরুষরা টাক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। মাথার সামনের দিকে বা মাঝখানে চুল পাতলা হতে থাকে। এক সময়ে টাক পড়ে যায়। যা অনেককেই দীর্ঘ হতাশায় ডুবিয়ে দেয়।
টাক সমস্যা সমাধানে নানা হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু সেগুলোর বেশিভাগই কৃত্রিম ও কেমিক্যাল মিশ্রিত হওয়ায় সাময়িক উপকার হলেও দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ন্যাচারাল উপাদানের কার্যকরী প্রয়োগ। লাল রঙের জবা ফুল হতে পারে এই সমস্যা সমাধানের আদর্শ উপাদান।
কিন্তু এতকিছু থাকতে জবা ফুল কেন? জবা ফুলে থাকা বিভিন্ন উপাদান চুলের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এমনকি নতুন চুল গজানোর উপাদানও রয়েছে জবা ফুলে। তবে বিশেষ নিয়মে ব্যবহার করতে হবে এই ফুল।
জবা ফুলের তেলে হবে মাথাভর্তি ঘন চুল : জবা ফুলের তেল স্ক্যাল্পে নিয়মিত মালিশ করতে হবে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে চুলও ঘন হয়। জবা ফুলের তেল তৈরি করতে ৮টি জবা ফুল, ৮টি জবা ফুলের পাতা ও এককাপ নারকেল তেল প্রয়োজন। প্রথমে জবার ফুল ও পাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সেগুলো গ্রাইন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। পরে একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে।
সেই তেলে জবা ফুলের পেস্ট মিশিয়ে হালকা আঁচে কিছু সময় রান্না করতে হবে। পরে পাত্রটি ঢেকে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সবশেষে মিশ্রণটি ছেঁকে তেলটি আলাদা করে কাঁচের বোতলে তেল সংরক্ষণ করতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন এই তেল স্কাল্পে মেখে একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
জবা ফুল ও ডিমের প্যাক : জবা ফুলের সঙ্গে ডিমের প্যাক নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই প্যাক। এ জন্য দুটি ডিমের সাদা অংশ ও তিন টেবিল চামচ জবা ফুলের পাউডার ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মাখিয়ে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে একদিন করলেই যথেষ্ঠ।