থানকুনির বৈজ্ঞানিক নাম সেনটেলা এসিয়াটিকা। থানকুনি পাতা সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে বর্ষাকালে উৎপাদন বেশি হয়। বাসার বারান্দা কিংবা ছাদের টবে থানকুনি পাতা চাষ করা সম্ভব। থানকুনি পাতার ভর্তা, ভাজি, বড়া, সালাদের সঙ্গে অথবা কাঁচা রস করে খাওয়া যায়। এছাড়াও এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
খ্রিস্টপূর্ব ৯০০ থেকে থানকুনি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ এলাকায় ফল ও সবজি বাগানে ছায়াযুক্ত স্থানে সমন্বিতভাবে কৃষকরা থানকুনি আবাদ করছেন। কৃষকের জন্য এটি বাড়তি লাভ। থানকুনি চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। লাগে না বাড়তি খরচ। প্রয়োজনীয় যত্ন নিলে পাওয়া যায় অর্থ ও সুস্বাস্থ্য।
থানকুনি টবে বা যে কোনো পাত্রে চাষ করতে পারেন। মাটির পাত্র বা টব ব্যবহার করলে ২ বা ৩টি ছিদ্র করে নেবেন, যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পরে যায়। তবে সব পানি যাতে পড়ে না যায় সেজন্য ছিদ্রের উপর ইটের টুকরা, মাটির চেরা বা পলিথিন দিতে পারেন। টবে প্রথমে সার জাতীয় মাটি নিন, তারপর গোবর সার অথবা অন্যান্য জৈব সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
গোবর বা জৈব সার মাটির চারভাগের ১ ভাগ দিন। টব মাটি দিয়ে ভর্তি করার সময় উপরের দিকে কিছুটা জায়গা খালি রাখুন। বীজ বা ২, ৩টি চারা লাগান, মাটিতে হাল্কা চাপ দিন, বীজ বা চারা লাগানোর পর পানি দিন। এছাড়াও টবে মাটি ভরে রেখে দিয়ে ৭ থেকে ৮দিন পর লাগাতে পারেন। থানকুনি পাতার তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণমতো পানি দিলেই থানকুনি পাতা ভালো থাকে।