বৃহস্পতির উপগ্রহের উদ্দেশ্যে শুরু হচ্ছে নানসার ক্লিপার মিশন। বরফে ঢাকা উপগ্রহ ইউরোপাতে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বের করাই এই মিশনের মূল উদ্দ্যেশ্য। আবহাওয়ার ভালো থাকা সাপেক্ষে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় (মার্কিন সময় ১৪ অক্টোর রাত ১২টা) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাযানটি উৎক্ষেপন করা হবে। ক্লিপার মহাকাশযানকে লঞ্চ করা হবে স্পেস এক্সের ফ্যালকন হেভি রকেটের সাহায্যে।
বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। কারণ এর বরফে ঢাকা পৃষ্ঠের নিচে এক বিশাল জলভাণ্ডার। আর পানি মানেই প্রাণের সম্ভাবনা। সেই সম্ভানটায় খতিয়ে দেখতে চান নাসার গবেষকেরা।
ইউরোপা ক্লিপার মিশনের মূল লক্ষ্য হলো বরফের নীচের পানি এবং পৃষ্ঠের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করা। মহাকাশযানে সংযুক্ত বিজ্ঞানযন্ত্রগুলো ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচের পরিবেশ, সেখানকার রাসায়নিক ও ভূতাত্ত্বিক গঠন যাচাই করে দেখবে। এই মিশন ভবিষ্যতের মিশনগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।
উৎক্ষেপণের পর প্রায় ক্লিপার মহাকাশযান ছয় বছর একটানা মহাকাশে ভ্রমণ করবে।
২০৩০ সালের এপ্রিল মাসে এটি ইউরোপার কক্ষপথে পৌঁছাবে। তারপর একাধিক ফ্লাইবাই বা উড়াল সম্পন্ন করবে। এ সময় এটি ইউরোপার পৃষ্ঠ, বরফের স্তর এবং এর নিচের তরল সমুদ্রের বিস্তারিত চিত্র এবং বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করবে।
ইউরোপা ক্লিপার মহাকাশযানটির ওজন প্রায় ৫.৭ টন ওজন। এটি ২৮টি থ্রাস্টার দ্বারা পরিচালিত হবে। এই মহাকাশযানের শক্তির অন্যতম যেজাগানদাতা হিসেবে কাজ করবে এর বিশাল সোলার প্যানেলগুলো। ক্লিপার মহাকাশযানে উচ্চমানের ক্যামেরা, রাডার এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সংযুক্ত করা হয়েছে। ইউরোপা ক্লিপার মিশনের সফল হলে সৌরজগতে অন্য কোথাও প্রাণের সম্ভাবনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।