আত্মবিশ্বাসের অন্য নাম সুস্মিতা সেন। প্রেম, বিচ্ছেদ, মাতৃত্ব, সমালোচনা জুটেছে প্রতিপদে। জীবনে অবসাদ এসেছে তারও। চলার পথে বারবার মন বেঁধেছেন মায়ের অনুপ্রেরণাতেই। এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের এই অভিনেত্রী জানালেন, জীবনে ভেঙে পড়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, যা তিনি শিখেছেন নিজের মায়ের কাছেই।
একমাত্র মা পারেন, সন্তানকে জীবনমুখী করে তুলতে। শিশুদের বেড়ে ওঠা, মূল্যবোধ, জীবন দর্শন তৈরি হয় মায়ের হাত ধরেই। তাদের দায়িত্ব অনেক। আজকের যুগের মায়েরা ঘরে বন্দী নন। ঘরে বাইরে শক্ত হাতে সামলাচ্ছেন সংসার ও ক্যারিয়ার।
সৌন্দর্য দিয়েই গোটা বিশ্ব জয় করেছেন সুস্মিতা সেন। অভিনয়, হাতে গোনা। সম্প্রতি ‘আর্যা’ সিরিজটি সাড়া ফেলেছে ওটিটিতে। তার কথায়, “আমি শিখেছি বাস্তব জীবনেও কীভাবে মাথায় মুকুট ধরে রাখতে হয়, মাথা উুঁচু করে বাঁচতে হয়।”
বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর সুস্মিতা জানিয়েছিলন, ফ্যাশন প্যারাডে হাঁটার মতো জমকালো পোশাক ছিল না তার। তবু তিনি জিতেছেন সমস্ত বাধা অতিক্রম করেই। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে পড়াশোনা, চাকরি, সম্পর্ক, সব কিছু নিয়েই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন কত মানুষ। ভেঙে পড়েন। ছেড়ে যান লড়াইয়ের ময়দান। কিন্ত হার মানেননি বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা।
অভিনেত্রী জানালেন, “জীবনে অবসাদ থাকা ভাল। মা আমাকে তেমনটাই বলতেন। চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন কিছুর চেষ্টা করলে অনেক ঘাত প্রতিঘাত আসে। মন খারাপ হয়। তখন কিছুক্ষণ থেমে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই লক্ষ্যেই। নতুন উদ্যম নিয়ে।”
না চাইতেও অবসাদ যোগ হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। ছোট ছোট না পাওয়াগুলো তাই জটিলতা বাড়াচ্ছে। শুধুই প্রতিযোগিতা। হাঁপিয়ে উঠছে বাচ্চারা। মায়েদের উচিত ওদের পাশে থাকা। সাফল্য একটা প্রক্রিয়া, তার জন্য চাই অধ্যাবসায়। সব সময় সব অনুকুলে বয়ে যায় না জীবন। তাই শিখতে হবে প্রতিকূলতায় টিকে থাকতে। বাচ্চাদের হাত যদি শক্ত করে মায়েরা না ধরেন তাহলে কে থাকবে ওদের পাশে?