ভ্রমণ শুধু আনন্দদায়কই নয়। এটি বার্ধক্যের সাথেও লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ছুটির দিনে ভ্রমণে যাওয়া রোমাঞ্চকর। তবে এই ভ্রমণই যদি নিজেকে জানতে এবং তারুণ্য জাগিয়ে তুলতে পারে, তবে কেমন হবে ব্যাপারটা? হাঁ, অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কোওয়ান ইউনিভার্সিটির একটি নতুন গবেষণা এমনটিই জানিয়েছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে ভ্রমণের মাধ্যমে বয়সের এগিয়ে যাওয়া অনেকটা অফসেট করা যেতে পারে।
সমীক্ষা অনুসারে, ভ্রমণের অনেক অংশ- যেমন নতুন লোকের সাথে দেখা করা, ভাল ঘুমানো, নতুন জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করা, যোগব্যায়াম এবং স্পা চিকিৎসার মতো আরামদায়ক ক্রিয়াকলাপগুলোতে অংশ নেয়া- অকাল বার্ধক্যকে অস্বীকার করতে সহায়তা করতে পারে। প্রকৃতির কাছে ছুটে যাওয়া ক্ষণিকের অবসর আপনাকে কঠোর ব্যস্ততা থেকে সত্যিই এক ভিন্ন অনুভূতি এনে দেয়।
গবেষণার প্রধান লেখক ফাংলি হু বলেন, ‘পর্যটন শুধু অবসর এবং বিনোদন নয়। এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেও অবদান রাখতে পারে।’ এখন কেবল আপনার বসকে বোঝাতে হবে যে আপনার আরো ছুটির দিন দরকার।
ভ্রমণের অনুভূতি
জোআন বেকার বলেছেন, অনেক লোক তাদের সফরে কোনো অন্ধ ব্যক্তিকে চায় না। অথচ বোস্টনভিত্তিক অন্ধ মহিলা ৫৬টি দেশে গেছেন এবং গণনা করেছেন। তিনি মনে করেন না যে দেখতে না পেয়ে কিছু হারিয়েছেন তিনি।
ক্রিস উইলসন ২০০৮ সালে একটি জীবন-পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন তিনি ক্রেগলিস্টে একটি ক্রুজ জাহাজ কিনেছিলেন এবং ২৯৩-ফুট জাহাজটি পুনরুদ্ধার করার জন্য এক বছরব্যাপী প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছিলেন।
উইলসন বলেছেন, তিনি আবেগময় এ প্রকল্পে তার জীবন সঞ্চয় ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে জাহাজটি বাঁচানোর জন্য এটি যথেষ্ট ছিল না। কিভাবে তার স্বপ্ন ডুবেছিল এবং কেন তিনি ‘কখনো কোনো অনুশোচনা করেননি’ তা খুঁজে বের করুন।
ভ্রমণের এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়। নতুন করে ভাবতে শেখায়। এতে দেহ, মনে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়। যা বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করতে পারে।