সকালের ওয়ার্কআউটের জন্য আরামদায়ক বিছানা ত্যাগে অদম্য শক্তি প্রয়োজন-পাশাপাশি ওয়ার্কআউটের সময় শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়াতে, ওয়ার্কআউটের আগে কেমন খাবার খাওয়া উচিত? একজন পুষ্টিবিদ বলে দিতে পারবেন আপনার কী প্রয়োজন-
প্রি-ওয়ার্কআউট ডায়েট চার্ট
মুম্বাইয়ের স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান বেদিকা প্রেমানির মতে, ‘প্রি-ওয়ার্কআউট ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট খাবার তালিকায় থাকা উচিত। ওয়ার্কআউটের সময় শরীরে শক্তির জন্য সকালের নাস্তার প্লেটে শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খাবার রাখুন।
কিছু সহজ প্রি-ওয়ার্কআউট খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, দই, ওটমিল অথবা শস্যের রুটি। এ ছাড়া ফল কঠোর ব্যায়ামের সময় শক্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের আরেকটি প্রাকৃতিক উৎস। বেদিকা প্রেমানি আরও বলেন, ‘শরীরে সর্বদা হাইড্রেশন অপরিহার্য। কারণ এটি পুনরুদ্ধারে এবং ওয়ার্কআউটের সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে’।
যা অনুসরণ করবেন : জেনে নিন সহজ এবং অনুসরণযোগ্য প্ল্যান, যা ওয়ার্কআউটে শক্তির মাত্রা বাড়াবে।
কার্বোহাইড্রেট : ওটমিল, রুটি ও মিষ্টি আলু
ফল : কলা, বেরি বা সাইট্রাস ফল
প্রোটিন : শক্ত সেদ্ধ ডিম বা দই
হাইড্রেশন : নারকেল পানি ওয়ার্কআউট শেষে আপনার ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বিযুক্ত খাবার রাখুন। ব্যায়ামের পরে পেশিক্ষয় মেরামতে মুরগির মাংস, মাছ বা ডিম, ডাল, মসুর ডাল এবং দই বা পনিরের মতো দুগ্ধজাত খাবার এবং বাদামি চাল বা বাজরের মতো খাদ্যশস্য শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেশিক্ষয় দ্রুত পুনরুদ্ধারে ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন- ওমেগা-৩ জাতীয় খাবার, বাদাম এবং তৈলবীজ জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
তথ্যসূত্র : ভোগ ম্যাগাজিন