শরীরের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভীষণ জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন ই, সিলেনিয়াম, জিঙ্কসহ আরও নানা উপাদানের কাজ ত্বরান্বিত করে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। হৃদরোগ, ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। জেনে নিন কোন কোন খাবারে পাবেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
পেঁয়াজ
ফ্লাভোনোইড, অ্যাসকোর্বিক অ্যাসিড, ফেনোলসহ নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে পেঁয়াজে। বিশেষ করে লাল পেঁয়াজ স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভালো।
আখরোট
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস আখরোট। গর্ভবতী অবস্থায় আখরোট খেলে শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে দূরে থাকতে পারবেন নানা রোগ থেকে। বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস এই ফলটি।
চর্বিহীন মাংস
লিন মিট বা চর্বিহীন মাংস কেবল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরই উৎস নয়, এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও নানা ধরনের মিনারেল।
মধু
শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস হচ্ছে মধু। এতে রয়েছে ফেনোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই সহ আরো নানা উপাদান। মধুতে ১৫০ ধরনের ফেনোলিক উপাদান রয়েছে।
ডার্ক চকোলেট
পলিফেনোল ও ফ্লাভোনোয়েডের অন্যতম উৎস ডার্ক চকোলেট। এটি খেতে পারেন সুস্থ থাকতে চাইলে।
পালং শাক
ক্যারোটিন ও অ্যাসকোর্বিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর পালং শাক। এছাড়াও সবুজ এই শাকে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন ও মিনারেল।
গ্রিন টি
ক্যাটেচিনের মতো প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় গ্রিন টি থেকে। এছাড়াও পলিফেনোলের উপস্থিতিও রয়েছে এতে। সুস্থ থাকার পাশাপাশি বাড়তি ওজনকে কাছে ঘেঁষতে দিতে না চাইলে গ্রিন টি পান করুন নিয়মিত।
লাল ক্যাপসিকাম
বেল পেপার বা লাল ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমানে অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট রয়েছে। বিটা-ক্যারোটিন, লিউটেলিন ও ক্যাপসানথিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পেতে চাইলে খাবার তালিকায় এই সবজিকে জায়গা দিতেই হবে।
গাজর
শরীরের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত খান গাজর। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেলসহ নানা উপাদান।