অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ই-সিম স্থানান্তর করার উপায় । মোবাইল ফোনে এতদিন ধরে ব্যবহৃত সিম কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণই হচ্ছে ই-সিম। একটি ফিজিকাল সিম কার্ডের তুলনায় এর বেশকিছু সুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে।
কেউ চাইলেই সাধারণ সিম কার্ড একটি ফোন থেকে খুলে অন্য ফোনে সেট করে নিতে পারেন। তবে, ই-সিমের ক্ষেত্রে এই সিম কার্ড বদলানোর বিষয়টা এত সহজ নয়।
মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা ছাড়াই কীভাবে একটি ই-সিম স্থানান্তর করবেন? বা সরাসরি স্থানান্তর কাজ না করলে নতুন ফোনে ই-সিম চালু করবেন কীভাবে? চলুন জেনে নাওয়া যাক বিস্তারিত। তবে, এটি কেবল ই-সিমের সাপোর্ট থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই কাজ করবে।
ই-সিম স্থানান্তরের প্রস্তুতি
ই-সিম স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো।
প্রথমেই যে কোম্পানির সিম ব্যবহার করা হয়, সে ক্যারিয়ার বা কোম্পানি ই-সিম ট্রান্সফার বা স্থানান্তর ‘সাপোর্ট’ করে কি না এটি দেখে নিন। অনেক কোম্পানি নিজে থেকে ই-সিম স্থানান্তর করতে দেয় না, সে ক্ষেত্রে কোম্পানির সঙ্গেই যোগাযোগ করতে হবে।
যে ফোনে ই-সিম ট্রান্সফার করা হবে, সেটি ই-সিম সাপোর্ট করে কিনা দেখে নিন। ফোনের সেটিংস অ্যাপে ‘ডাউনলোড এ নিউ ই-সিম’ অথবা এমন ধরনের কোনো অপশন আছে কিনা দেখুন।
দুটি ফোনেই ইন্টারনেট সংযোগ আছে কিনা দেখে নিন।
ই-সিম সরাসরি নতুন ফোনে স্থানান্তর করুন
সাধারণত নতুন ফোন সেটআপ করার সমযয়েই ই-সিম স্থানান্তর করা হয়৷ সেটআপের সময় দুটি ফোনই কাছাকাছি রাখুন।
১. নতুন ফোনের সেটআপ করতে স্ক্রিনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন, যতক্ষণ না ‘কানেক্ট টু এ মোবাইল নেটওয়ার্ক’ স্ক্রিন সামনে আসছে।
২. ওই স্ক্রিনে ‘ট্রান্সফার সিম ফ্রম অ্যানাদার ডিভাইস’ অপশনটি ট্যাপ করুন।
৩. পুরনো ফোনে ‘কনফরমেশন’ বা নিশ্চিতকরণ স্ক্রিন আসবে। সিম স্থানান্তর নিশ্চিত করতে ‘নেক্সট’ অপশনে ট্যাপ করুন।
৪. এবারে পুরনো ফোনের ওপরে আসা কিউআর কোডটি নতুন ফোন দিয়ে স্ক্যান করুন।
৫. ই-সিম স্থানান্তর শেষ করতে, নতুন ফোনের ‘কানেক্ট’ অপশনে ট্যাপ করুন।
এভাবে ই-সিম নতুন ফোনে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে ও সেখান থেকে আবারও ফোন সেটআপ করা চালিয়ে যেতে পারেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে ই-সিম ট্রান্সফার নিশ্চিত করতে ফোন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতে পারে।
ই-সিম ট্রান্সফারের অন্য উপায়
অনেক সময় ফোন সেটআপের সময় ই-সিম ট্রান্সফার করা না ও যেতে পারে। এমন হলে, আগে পুরনো ডিভাইস থেকে ই-সিমটি ডিলিট করে নতুন ফোনে আবার চালু করতে হবে।
ই-সিম ডিলিট করবেন যেভাবে
এ পদক্ষেপটি অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে চলা গুগল পিক্সেল ফোনের ক্ষেত্রে কাজ করবে। অন্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে সিমের তথ্য অন্য নামের সেটিংসের মধ্যে থাকতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সেটিংস থেকে ‘নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট’ মেনু অপশনে গিয়ে আবার ‘মোবাইল নেটওয়ার্ক’ অপশনে যেতে হতে পারে।
১. সেটিংস অ্যাপটি চালু করুন।
২. নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট অপশনটি চালু করুন।
৩. ‘সিমস’ অপশনে ট্যাপ করুন।
‘৪. যে ই-সিমটি ডিলিট করতে চান সেটি বেছে নিন।
৫. নিচে স্ক্রল করে ‘ডিলিট সিম’ অপশনটি বেছে নিন।
এভাবে পুরনো ফোন থেকে সিম ডিলিট করে নতুন ফোন থেকে ই-সিম চালু করে নিতে পারবেন।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কারিগরি জ্ঞান না থাকলে সরাসরি মোবাইল ক্যারিয়ার কোম্পানির গ্রাহক সেবা সেন্টারে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি।