তাকে বলা হয় বাংলার রকস্টার। সোনালি গিটারের গায়ক। সেই আইয়ুব বাচ্চু নেই ৬ বছর। আজ থেকে ছয় বছর আগে আজকের দিনে তার নামের আগে বসেছে ‘প্রয়াত’ শব্দটি। তবু কি শিল্পীর মৃত্য আছে? কখনোই না, সৃষ্টির মধ্যেই তিনি বেঁচে থাকবেন।
বহু বছর আগেই গানে গানে যার আভাস দিয়েছিলেন ঠিক এভাবেই, ‘আমি গানে গানে আসবো ফিরে, কানে কানে/ দোলাব হৃদয় তোমার, সময় অসময়ে/ ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণে, বেলা অবেলায় আলিঙ্গনে/ আমি আসব তোমার, ঠিক সবখানে….।’ তার পরও ‘১৮ অক্টোরব’- এই তারিখটি অগণিত ভক্ত-শ্রোতার জন্য শোকের।
এদিন তাই অনেকে খুলে বসেন স্মৃতির ঝাঁপি।
শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় স্মরণ করেন তার কালের শ্রেষ্ঠ এই শিল্পীকে। যিনি ছিলেন একাধারে কণ্ঠ ও গিটার শিল্পী, সুরকার, গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক। তারকা শিল্পী বাপ্পা মজুমদারও ‘ফেরারি মন’ গানের একটি ইন্সট্রুমেন্টাল তৈরি করে আইয়ুব বাচ্চুকে ট্রিবিউট করেছেন।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বাচ্চু ভাই।
অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে আপনি বাংলা সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। আপনার গানের জন্য ধন্যবাদ বস। আমরা আমাদের শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ না করা পর্যন্ত আপনাকে উদযাপন করব।’
সংগীতশিল্পী জুনায়েদ ইভান লিখছেন, “বাচ্চু ভাই, আপনাকে মনে পড়ে। আমার স্টুডিওতে প্রায় রাতে আপনার গান গাই।
ইদানীং গাইছি ‘ফেরারি মন’ ! প্রথম মাঠে বসে চিৎকার করে গাওয়া, যেন প্রথম কোথাও শুনতে পেয়েছিলাম নিজের কণ্ঠ। কত আগের একটা গান। কত বড় হয়ে গেছি। আপনিও নেই, কতকাল ধরে। অথচ গানটা একই জায়গায় আটকে আছে। ‘ হারায়ে বুঝেছি তুমি কী ছিলে আমার কী ছিলে আমার তুমি বোঝানো না যায় !”
সংগীতশিল্পী ইমন চৌধুরী স্মরণ করে পোস্ট করেছেন গিটারে তোলা বাচ্চুর একটি গানের সুর। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের প্রয়াণ দিবসে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। কীর্তিমানের মৃত্যু নাই…’
একই ভাবে দেশের এই রক আইকনকে শ্রদ্ধা জানাতে গীতিকার নিয়াজ আহমেদ অংশু ও সুরকার তানভীর তারেক একটি যৌথ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিবছরের মতো আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মিউজিসিয়ানস ক্লাব, ঢাকা।