বর্তমান সময়ে অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু ক্রীড়াঙ্গনের তারকারদের নামে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখা যায়। বাদ যান না রাজনীতিবিদরাও। তাদের নামেও একাধিক অ্যাকাউন্ট ফেসবুক খুললে চোখে পড়ে। যা তাদের শুধু বিব্রতই করে না, নিজেদের ইমেজ সংকটও তৈরি করে।
দেখা যায় নামি শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রোফাইল থেকে তথ্য চুরি করে হুবহু একই রকম ‘ক্লোন’ তৈরি করে নানা রকম অসামাজিক, অনৈতিক কাজ করা হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি সেই ফাঁদে পা দেন, তা হলে কী হবে?
সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ হল জালিয়াতির নতুন কায়দা। ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা ওই ব্যক্তির ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে হুবহু একই রকম দেখতে আরও একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। সেখান থেকে ওই ব্যক্তির চেনা-পরিচিতদের কাছে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠায়। সেই অনুরোধ গ্রহণ করা মাত্রই সেখান থেকে নানা রকম অনৈতিক কাজকর্ম শুরু করে। তথ্য চুরি তো বটেই, এভাবে জালিয়াতেরা অর্থ, ব্যক্তিগত তথ্য, মেল বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের পাসওয়ার্ডও চুরি করতে পারে। যে হেতু ওই প্রোফাইলটি দেখতে একেবারে একই রকম, তাই চেনা মানুষের কাছ থেকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ পাওয়া মাত্রই ঠিক-ভুল না ভেবে তা ‘অ্যাকসেপ্ট’ করে ফেলেন বেশির ভাগ মানুষ। আর ভুলটা হয় সেখানেই।
ফেসবুক প্রোফাইল ‘ক্লোন’ হলে কী করবেন?
১. ভয় না পেয়ে প্রথমেই সকলকে এই বিষয়ে অবগত করুন। বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়দের সাবধান করে দিন, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আসা বন্ধুত্বের কোনও অনুরোধ যেন তারা গ্রহণ না করেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হল সেই ফেসবুকই। পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতে পারেন। সেই পোস্ট যাতে সকলের নজরে পড়ে তার জন্য কমেন্টস বক্সে ‘অ্যাট হাইলাইট’ বা ‘অ্যাট ফলোয়ার’ লিখে রাখতে পারেন।
২. চেনা-পরিচিত সকলকে অনুরোধ করতে পারেন ভুয়ো ওই অ্যাকাউন্টটি দেখা মাত্রই যেন ‘রিপোর্ট’ করে দেন। তার জন্য কী করতে হবে?
· প্রথমে ফেসবুকে আসা বন্ধুতালিকার মধ্যে থেকে ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি খুঁজে, তার আসল পাতাটির মধ্যে যেতে হবে।
· প্রোফাইলের এক পাশে থাকে ছবি, নাম। ঠিক তার উল্টো দিকে একটু নীচে রয়েছে তিনটি ‘ডট’ চিহ্ন।
· সেখানে ক্লিক করলেই ‘রিপোর্ট প্রোফাইল’ অপশন আসবে।
· তারপর ফেসবুক জানতে চাইবে আপনি কেন ওই প্রোফাইলটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে চাইছেন।
· সেখানে ক্লিক করলে সম্ভাব্য নানা প্রকার কারণের একটি তালিকা আসবে।
· সেখান থেকে ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ ক্লিক করলেই কাজ শেষ।
· পদ্ধতি সঠিক হলে ‘রিপোর্ট’ করার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হওয়ার মেসেজ পৌঁছে যাবে।