গত কয়েক মাস ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ইংল্যান্ডের বাজবল তত্ত্ব। মূলত আগ্রাসী ক্রিকেটই এই তত্ত্বের মূলমন্ত্র। তবে চলমান ভারত সিরিজে সেই বাজবল তত্বের সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। তাই সময় বুঝেই বাজবলকে খোঁচা দিয়েছে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে যাত্রা শুরু হয় বাজবলের। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম হেড কোচ এবং বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর পাল্টে গেছে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের চেহারা।
মাঠের ক্রিকেটে স্টোকসের আক্রমণাত্মক মনোভাব আর ড্রেসিংরুমে ম্যাককালামের মাস্টার মাইন্ড। সবমিলিয়ে সেই সিরিজ দিয়ে নতুন যুগে পা রাখে ইংলিশদের টেস্ট ক্রিকেট। ম্যাককালামের ডাকনাম ‘বাজ’ এর সঙ্গে মিলিয়ে তাদের এই আগ্রাসী ক্রিকেটের নাম দেয়া হয় ‘বাজবল তত্ত্ব’।
এরপর থেকে যতগুলো টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড, সবগুলোতেই তাদের আধিপত্য ছিল। এমনকি টেস্ট হারলেও আক্রমণাত্মক মনোভাব বজায় ছিল তাদের। তবে চলমান ভারত সফরে যেনো সেখানে ছেদ পড়েছে। টানা তিন হারে পাঁচ টেস্টের সিরিজটি এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায় স্টোকসের দল।
সিরিজের শেষ ও পঞ্চম টেস্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, আমি সত্যিই জানি না, বাজবলের মানে কী। ক্রিজে গিয়েই মারমুখী ব্যাটিং করা নাকি রক্ষণাত্মকভাবে খেলা এবং আলগা বলের জন্য অপেক্ষা করা। আমি একজনকেও দেখিনি, যে খুব মেরে খেলেছে। তাই আমি আসলে জানি না, এই শব্দের মানে কী।
রোহিত আরও বলেন, অবশ্যই তারা গতবার এখানে যে ক্রিকেট খেলেছে তার চেয়ে ভালো করেছে। আর তাদের দুজন ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, যারা এখানে বড় সেঞ্চুরি করেছে, ভালো খেলেছে। তারা সাফল্য পেতে তাদের পদ্ধতি প্রয়োগ করে এবং সেই সাফল্য পেয়েছেও। কিন্তু এর বাইরে বাজবলের অর্থ কী আমি জানি না।