বিশ্বে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে (ইউটিআই) আক্রান্ত হয়। তবে এর প্রধান ভুক্তভোগী নারীরা। পানি খাওয়ার পরিমাণ কম বলে শীতে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
কারণ
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এশেরিকিয়া কোলাই মূত্রনালির মধ্যে প্রবেশ করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করে।এরা মূত্রাশয়, মূত্রনালি এমনকি কখনো কখনো কিডনিকেও আক্রান্ত করতে পারে। ইউটিআই মৃদু থেকে গুরুতর হতে পারে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে অস্বস্তি, ব্যথা এবং সম্ভাব্য গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
ইউটিআইয়ের লক্ষণগুলো পরিবর্তিত হতে পারে।
তবে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো—
► ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ
► প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া
► অস্বস্তিকর অনুভূতি
► প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন
► তলপেটে ব্যথা
► গুরুতর লক্ষণ
► জ্বর
► ঠাণ্ডা লাগা
► পিঠে ব্যথা অনুভূত হওয়া (সংক্রমণ কিডনিতে পৌঁছানোর লক্ষণ)
ঝুঁকিগুলো কী কী?
► লিঙ্গ : নারীদের মূত্রনালি পুরুষের মূত্রনালির তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোট, যা মূত্রাশয়ে ব্যাকটেরিয়া পৌঁছানো সহজ করে তোলে। ছোট মূত্রনালির কারণে নারীরা বেশি ভুগে থাকে।
► যৌ.ন ক্রিয়াকলাপ : যৌ.ন মিলন থেকে মূত্রনালিতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। যৌ.না.ঙ্গ পরিষ্কার ও শুকনা রাখা জরুরি।
► মূত্রনালির প্রতিবন্ধকতা : কিডনিতে পাথর বা বর্ধিত প্রস্টেটের মতো অবস্থা প্রস্রাবপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
► বয়স : দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে বয়স্করা এবং শিশুরা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে।
► ক্যাথেটার ব্যবহার : যাদের মূত্রনালিতে ক্যাথেটার আছে, তাদের ইউটিআই হওয়ার প্রবণতা বেশি।
করণীয়
► প্রচুর পানি পান করা
► ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
► যৌ.না.ঙ্গে.র কাছাকাছি প্রসাধনী ব্যবহার না করা
► যৌ.ন ক্রিয়াকলাপের আগে এবং পরে প্রস্রাব করা
চিকিৎসা
ইউটিআই শনাক্তে এর উপসর্গগুলো চিনে রাখা এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অপরিহার্য। এর চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়ে থাকে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/evening-breakfast/
সংক্রমণ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়েছে কি না, তা নিশ্চিতে অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স সম্পন্ন করা জরুরি। উপসর্গের উন্নতি হলেও অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না হলে বন্ধ করা যাবে না। মনে রাখবেন, চিকিৎসা নিতে গড়িমসি করলে গুরুতর জটিলতা, যেমন—কিডনি সংক্রমণ বা সেপসিস দেখা দিতে পারে।