ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে গ্রাহকদের। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির টাকা ফেরত কার্যক্রম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোঃ রাসেলের টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণায় আশা ফিরে পেয়েছিলেন হাজারো গ্রাহক। প্রথম দফায় ১৫০ জন গ্রাহক নিজেদের টাকা ফেরতও পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১০০ জন গ্রাহকের পাওনা। এরপরই আসে দুঃসংবাদটি।
ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মহাপরিচাক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলও। ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা আজ ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর সময় মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে।
কিন্তু ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন মঙ্গলবার। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।