ইস্ট বেঙ্গল পুরুষ দলের হয়ে অনেক আগেই খেলেছেন বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার শেখ আসলাম, প্রয়াত মোনেম মুন্না, রুমি, গাউসরা। প্রায় ৩২ বছর পর বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন। সানজিদার সঙ্গে তিন মাসের জন্য চুক্তি করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের অষ্টম ও প্রথম নারী হিসেবে ইস্ট বেঙ্গলে খেলছেন সানজিদা। সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকারের পর বাংলাদেশের তৃতীয় নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশি লিগে অভিষেক ঘটল ২২ বছর বয়সী সানজিদার। ভারতে যাওয়ার আগে এই ফুটবলার বলেছিলেন, ‘প্রথমবার বলে কিছুটা নার্ভাস লাগছে। তবে আমার চেষ্টা থাকবে ভালো খেলার।’
অবশেষে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে অভিষেক হয়ে গেল তার। দশ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন তিনি। অবশ্য ভারতীয় নারী লিগে তার অভিষেক ম্যাচে জয় পায়নি তার দল। যদিও মনে রাখার মতো কিছু হয়নি, ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। একাদশে শুরু থেকে খেললেও গোল পাননি তিনি। স্পোর্টস ওডিশার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তার দল। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে তার সাপ্লাই লাইন কেটে দেয় ওড়িশা। আর পুরো ম্যাচেই এলেমেলো ফুটবল খেলেছে ইস্ট বেঙ্গল। সানজিদার দেয়া কিছু পাস কাজে লাগাতে পারেনি তার সতীর্থরা। আবার তাকে ক্লিয়ার পাসও দেয়া যায়নি। তিনি নিজেও অনেক সময় পাসিংগুলো শতভাগ নিখুঁত করত পারেননি। কিংবা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের দিকে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতে হয়েছে। পঞ্চম মিনিটে আসে ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন সানজিদা। বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন। সেটি অবশ্য পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। ২৮ মিনিটে আবারও বক্সে ঢুকে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করলেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিরতির পরও ছিল একই চিত্র। দুই দল শত চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাতে পারেনি।
৭ দলের এই লিগে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওড়িশা। ইস্ট বেঙ্গল ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৬ নম্বরে আর সাবিনার দল ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে। পরের ম্যাচে আগামী সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আবার মাঠে নামবে ইস্ট বেঙ্গল। সেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ কিক স্টার্ট।
উল্লেখ্য, একই লিগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন খেলছেন কর্নাটকের দল কিকস্টার্টের হয়ে। ভারতের লিগে আগেও খেলেছেন সাবিনা। তবে সানজিদা এই প্রথম গেছেন দেশের বাইরে খেলতে।