জাতীয় দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন নাহিদ রানা। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) টানা খেলছেন এই পেসার। রংপুর রাইডার্সের সবগুলো ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তিনি। তরুণ এই পেসারকে এভাবে টানা খেলানোয় তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
ঢাকা ও সিলেট মিলিয়ে মাত্র ৯ দিনের মধ্যে টানা পাঁচটি ম্যাচ খেলেন তিনি। এর মধ্যে দুই দফায় ছিল টানা দুই দিন ম্যাচ। বেশি ম্যাচ খেলার ছাপ তার বোলিংয়েও পড়েছে। তার গতি এবং পারফরম্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
আসরে প্রথম ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন নাহিদ। ওভারপ্রতি খরচ করেন সাত রানের কিছু বেশি। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে আর উইকেটের দেখা পাননি তিনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ ওভারে দেন ৪৭ রান। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩ ওভারে দেন ৩৭ রান।
নাহিদ অবশ্য এখনই বিশ্রামের প্রয়োজন বোধ করছেন না। তিনি বলেন, ‘আসলে একজন ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের বিষয়টা সে নিজেই জানবে। সে নিজের শরীর নিজে ভালো বুঝবে যে, কখন ভালো আছে।’
‘আমার শরীর এখন আমি ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে সহায়তা করছে। বিসিবি থেকেও খোঁজখবর নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো।’-যোগ করেন তিনি।
বিশ্রাম প্রয়োজন হলে নিজেই চেয়ে নেবেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। টানা খেললে চোট পাওয়ারও শঙ্কা থাকে। এখন শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, ‘তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে।’ তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।’