ভারতের আপত্তির মুখে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়েছে হাইব্রিড মডেলে। যেখানে মূল আয়োজক পাকিস্তানে হয়েছে মোটে চার ম্যাচ। আর সহ-আয়োজক শ্রীলংকার মাঠে নয়েছে ৯ ম্যাচ। এমন অদ্ভুত সূচির জন্য শুরু থেকেই ছিল বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। এশিয়া কাপ শেষের পর প্রায় চার মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাওনা টাকা হাতে পায়নি লংকান ক্রিকেট বোর্ড।
হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক বাজেটের তুলনায় বেশি খরচ হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। দুই দেশে আসা-যাওয়া বাবদ ছিল চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা। কিন্তু সেই ধাক্কা সামাল দিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছেই বাড়তি অর্থ চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু পিসিবিকে এই বাড়তি অর্থ দিতে নারাজ এসিসি।
আর এই কারণেই শ্রীলঙ্কার কাছে ভাড়া নেয়া ভেন্যুর টাকাও ঝুলিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তাদের কাছে মাঠ ভাড়া ছাড়াও দিতে হচ্ছে হোটেল খরচ, ট্রান্সপোর্ট খরচও। সব খরচ দেয়ার জন্য শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছিল পাকিস্তান। শর্ত অনুযায়ী, ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮৫ মার্কিন ডলার দিতে রাজি হয়েছিল তারা।
যার ৫০ শতাংশ শুরুতে এবং ২৫ শতাংশ এসএলসিকে দেয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে। বাকি ২৫ শতাংশ পাকিস্তান দিতে চেয়েছিল টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর। কিন্তু নিজেদের আর্থিক সংকট আর এসিসি থেকে বিমানের খরচ না পাওয়ায় এই টাকা দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে (এসএলসি) বুঝিয়ে দিতে পারছে না পাকিস্তান।
সময় বাঁচানোর তাগিদে চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান। তাতে তাদের খরচ ২ হয়েছে লাখ ৮১ হাজার মার্কিন ডলার। যা আগেই পরিশোধ করতে হয়েছে পিসিবিকে।
টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ায় এসিসির কাছ থেকে ২.৫ মার্কিন মিলিয়ন ডলার পেয়েছে পিসিবি। আর ক্রিকেট বোর্ড তাদের খরচ দেখিয়েছে প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হওয়ায় চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
এদিকে এসিসির দাবি, লাহোরের খেলা হওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তান মুলতানে ম্যাচ আয়োজন করে। যেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করে পাকিস্তান। যে কারণে বাড়তি অর্থ দিতে চাচ্ছে না এশিয়ান ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।