দুই বছর আগেও বলা হচ্ছিল, গেল শতকের শুরুর দিকে ওয়েবসাইটভিত্তিক ব্যবসার মতোই হারিয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) রমরমা ব্যবসা। তবে তা ধোপে টেকেনি একদম। ২০২৩ সালের শেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ঠেকেছে ১২৪ বিলিয়ন ডলারে। সেই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম সারির ৫০০ ধনীর তালিকায় অন্তত ৩০ জনই নাম লিখিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবসায় ভর করে।
প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে চিত্রকর্ম, গাড়ি চালানো থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা- সব কিছুই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নখদর্পণে। প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করেছে যেমন, তেমনি বিত্তশালী করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।
এ যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জীবনদানে প্রয়োজনীয় চিপনির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। ২০২২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির আয় ছিল প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। বছর ব্যবধানে যা গিয়ে ঠেকেছে ৬১ বিলিয়নে। অথচ ২০২০ সালেও এ প্রতিষ্ঠানের আয় ছিল ১০ বিলিয়নের ঘরে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং- এর নামও উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির ৫০০ ধনীর তালিকায়।
ব্লুমবার্গের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইনডেক্সের তথ্য বলছে, বিশ্বের ধনী ৫০০ ব্যক্তির ৩০ জনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট। তালিকায় আগে থেকেই শীর্ষে মেটা প্লাটফর্ম ইনকরপোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী মার্ক জাকারবার্গ। সঙ্গে যোগ হয়েছেন মাইক্রো ডিভাইসেস ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী লিসা সু’রও মতো নতুন বিলিয়নিয়ার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারের এ রমরমা ভাবের তুলনা চলছে ২০০০ এর ডটকম বাবলের সঙ্গে। তখন একইরকম ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছিল বিভিন্ন ওয়েবসাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা। যদিও বেশিদিন তা টেকেনি। তবে এবারের হিসাবটা ভিন্ন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাণিজ্য পাল্টে দিচ্ছে আগের সব হিসাব-নিকাশ।
তথ্য বলছে, গেল বছর শেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ঠেকেছে ১২৪ বিলিয়ন ডলারে।