আপনি যখন খুব কম বয়সে বিয়ে করবেন তখন বিবাহবিচ্ছেদের শঙ্কাটাও অনেক বেশি হতে পারে। তবে খুব বেশি অপেক্ষা করাও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আসলে বিয়ের সঠিক বয়স কত? একেকজন বিয়ের জন্য একেক বয়স বেছে নেন। তবে অনেকেই মনে করেন, ছেলেদের একটু দেরিতে বিয়ে করলে ভালো। এ নিয়ে প্রায় ২ হাজার পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট বয়সে বিয়ে করলে নাকি আয়ু বাড়ে।
গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে, সুখী বিবাহিত পুরুষের আয়ু অনেকটাই বেশি। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া পুরুষদের অনেকের বিয়ের পর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বা যার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। আবার অনেক পুরুষ বিবাহিত জীবনে খুবই সুখী। সুখী বিবাহিত পুরুষরা এই ডিভোর্সি ও একাকি পুরুষের চেয়ে অনেকটাই বেশি সুস্থ। এমনকি যাদের স্ত্রী নেই, তাদের থেকেও বেশি বছর বাঁচেন বিবাহিত পুরুষরা।
গবেষণায় মূলত অংশ নিয়েছিল বিবাহিত ও অবিবাহিত পুরুষরা। যাদের বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩৫। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিয়ের পর কতটা সুখে আছেন পুরুষরা এবং কোন বয়সে বিয়ে করে বেশি সুখে আছেন। সুখ বলতে মূলত, সঠিক জীবনযাপনের কথাই বলা হয়েছে।
অনেকেই মনে করেন, ছেলেরা যদি একটু দেরিতে বিয়ে করেন, তাহলে সংসার সুন্দর করে গুছিয়ে তুলতে পারেন। আর এক্ষেত্রে স্বামীর থেকে যদি স্ত্রীয়ের বয়স কম হয় তাহলে নাকি সুখী হয় দাম্পত্য।
তবে গবেষণা কিন্তু অন্যরকমই বলছে। মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করলেই সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এর নেপথ্যের কারণ জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁদের বক্তব্য, বয়স যত কম থাকবে, মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী করতে নারীদের ২৫ ও পুরুষের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করা উচিত। ২৫-এর মধ্যে বিয়ে করা গেলে সবচেয়ে বেশি থাকে মানানসই সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ। তবে তার জন্য অবশ্যই আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। আর পছন্দসই সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ে করলে এমনিতেই সুখের হবে দাম্পত্য।
আর মনের মতো সঙ্গী পেলে মানসিক চাপ কম হবে। জীবন আরও ছন্দময় হবে। নিশ্চিত ও সুখময় জীবন হলে সেক্ষেত্রে বিয়ে বেশি দিন টিকবে। আর সংসার সুখের হলে আয়ুও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পুরুষদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বয়সেই বিয়ের পরামর্শ দিচ্ছে এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল।