লিওনেল মেসি কাঁদলেন আবারও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে হারের পর কেঁদেছিলেন হারের আক্ষেপে। এবার মেসি কাঁদলেন মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার ক্ষণে। কোপা আমেরিকায় নিশ্চিতভাবেই নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে ইনজুরির কারণে নিজের এই ফাইনাল ম্যাচটা শেষ করা হয়নি। ৬৩ মিনিটে চোটের কারণে পড়ে গিয়েছিলেন। আর ৬৬ মিনিটে মাঠই ছাড়তে হলো তাকে।
এরপরের গল্পটা যেকোন চিত্রনাট্যের মতো। বদলি নিকোলাস গঞ্জালেস খেললেন নিজের সর্বোচ্চটা নিয়ে। আর বিদায়ী ম্যাচে ডি মারিয়া অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ। তবে ম্যাচের ফল এনে দিলেন তিন বদলি খেলোয়াড়। লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভানি লো সেলসো আর লাউতারো মার্টিনেজ নেমেছিলেন একসঙ্গে ৯৭ মিনিটে।
ম্যাচের ফল ঘোরালেন সেই তিনজনই। লিয়ান্দ্রো পারেদেস দুর্দান্ত ট্যাকেলে বল জিতলেন, জিওভানি লো সেলসো দিলেন থ্রু পাস। আর সেখান থেকে লাউতারো মার্টিনেজের অসামান্য গোল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে গোল করে লাউতারো আদায় করলেন নিজের ৫ম গোল। আর এরই সুবাদে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট পুরস্কার নিজের করে নিলেন এই স্ট্রাইকার। ইতালিয়ান সিরিআর পর এবার কোপা আমেরিকাতেও হলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
গোল্ডেন গ্লাভস বা সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গিয়েছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের হাতে। আসরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে জিতিয়েছেন টাইব্রেকার। ফাইনালে চাপের মুখে দিয়েছেন একের পর এক সেইভ। পুরো আসর মিলিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কেবল এক ম্যাচেই গোল হজম করেছেন তিনি। এর আগে গত কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপেও তিনিই ছিলেন সেরা গোলরক্ষক।
তবে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার যায়নি আর্জেন্টাইনদের কাছে। পেয়েছেন কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ। আসরে ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন। ভেঙ্গেছেন লিওনেল মেসির এক আসরে ৫ অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড। করেছেন ১ গোলও। নেস্টর লরেঞ্জোর অধীনে নিজেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন ৩৩ বছরের এই অ্যাটাকার। দল হারলেও ব্যক্তিগত পুরস্কার ঠিকই নিজের করে নিয়েছেন তিনি।