রক্ষণ দুর্বলতার মূল্য দিল অ্যাস্টন ভিলা। প্রিমিয়ার লিগের ২৪তম রাউন্ডে মলিনিউ স্টেডিয়ামে উলভসের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে উনাই এমেরির দল। ম্যাচে একাধিক চোখধাঁধানো সেভ করলেও ক্লিন শিটের হতাশা আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের জন্য।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। ভিটর পেরেইরার শিষ্যরা দারুণ এক পাসিং মুভে ভিলার রক্ষণ ভেদ করলে বল পেয়ে যান জঁ বেলেগার্দ। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে মার্তিনেজকে পরাস্ত করেন তিনি।
গোল খাওয়ার পর ভিলার খেলায় যেন ছন্দপতন ঘটে। বারবার রক্ষণে ধস নামে, তবে সেখানেই চিত্রনাট্য বদলে দেন ডিবু মার্তিনেজ। একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দলকে খেলায় রাখেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
৩৫ মিনিটে বুবাকার কামারার কাছ থেকে বল কেড়ে একেবারে এক-অন-ওয়ানে চলে যান মাতেউস কুনিয়া। ডিবু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন, প্রতিপক্ষকে শট নেওয়ার সুযোগ দেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে শট আটকে দেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফের সেই দৃশ্য। এবার দারুণ এক পাস থেকে গোলের সামনে একা ছিলেন গনসালো গেদেস। কিন্তু বল কন্ট্রোল করার মুহূর্তেই চেপে বসেন মার্তিনেজ, দ্রুত বেরিয়ে এসে শট আটকে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফেরা হয়নি ভিলার। উলভস শেষ মুহূর্তে কুনিয়ার গোলে জয় নিশ্চিত করে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার এজরি কনসাকে কাটিয়ে বক্সে জায়গা বানিয়ে নিখুঁত শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এই হারের ফলে ভিলার ক্লিন শিট না পাওয়ার হতাশা আরও দীর্ঘ হলো। শেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র একবারই তারা গোল খায়নি। চলতি লিগে ২৪ ম্যাচে মাত্র তিনটি ক্লিন শিট পেয়েছেন মার্তিনেজ, যা তার অ্যাস্টন ভিলা ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে রেকর্ড।
২০২১ সালে ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্রতি মৌসুমে যথাক্রমে ১৫, ১১, ১১ এবং ৮টি করে ক্লিন শিট পেয়েছিলেন মার্তিনেজ। এবার সেই সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। শুধু তাই নয়, ৩৭ গোল হজম করে ভিলা এখন প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দশ দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল খাওয়া দল (শুধু ব্রাইটন—৩৮ গোল তাদের চেয়ে বেশি হজম করেছে)।
এই হারের পর ২৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে নেমে গেছে ভিলা। তবে তারা এখনও ইউরোপা লিগের দৌড়ে আছে, পঞ্চম স্থানে থাকা দলের চেয়ে মাত্র তিন পয়েন্ট পেছনে। অন্যদিকে, ১৯ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলের শঙ্কা দূর করেছে উলভস।