বর্তমান সময় প্রযুক্তি দুনিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি বিস্ময়কর উদ্ভাবন। আর ওপেন এআই এর দুনিয়ায় সবচেয়ে আধুনিকতম সংযোজন হচ্ছে চ্যাটজিপিটি।
মূলত চ্যাটজিপিটি একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সার্চ টুল। এই টুলটি ব্যবহার করে কবিতা, গান, প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি চাইলে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপযোগী আলাদা সিভিও লিখে নেওয়া যায়। শুধু তা-ই নয়, চ্যাটজিপিটি কাজে লাগিয়ে পুরোনো জীবনবৃত্তান্ত লিখার পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যও যুক্ত করা সম্ভব। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে আকর্ষণীয় ‘সিভি’তৈরির পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
পুরোনো জীবনবৃত্তান্ত সম্পাদনা ও পুনর্লিখন
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে পুরোনো জীবনবৃত্তান্তে থাকা তথ্য সম্পাদনা বা পুনর্লিখনের পাশাপাশি বানানের ভুলও সংশোধন করা যায়। এ জন্য প্রথমে চ্যাটজিপিটিতে প্রবেশের পর ‘প্লাস আইকন’-এ ক্লিক করে ‘ফোল্ডার’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এরপর পুরোনো জীবনবৃত্তান্তের ওয়ার্ড ফাইল আপলোড করে ‘আই নিড হেল্প ইমপ্রুভিং মাই সিভি’ এই প্রম্পট লিখলেই আপলোড করা তথ্য সম্পাদনা করে জীবনবৃত্তান্ত পুনর্লিখন ও বানান ঠিক করে দেবে চ্যাটজিপিটি। এবার জীবনবৃত্তান্তের তথ্যগুলো কপি করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে সাজিয়ে নিতে হবে।
নতুন জীবনবৃত্তান্ত
চ্যাটজিপিটিতে বিভিন্ন অংশ আলাদাভাবে লিখে নতুন জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা যায়। এ জন্য জীবনবৃত্তান্তের নির্দিষ্ট অংশ অনুযায়ী আলাদা করে প্রম্পট লিখতে হবে চ্যাটজিপিটিতে। এ জন্য জীবনবৃত্তান্তের যে অংশ লিখতে হবে, সে অংশের বর্ণনায় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে উপস্থাপনের পদ্ধতি উল্লেখ করে প্রম্পট লিখলেই সে অনুযায়ী জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করে দেবে চ্যাটজিপিটি।
এভাবে জীবনবৃত্তান্তের বিভিন্ন অংশ আলাদাভাবে লেখার পর ‘ক্যান ইউ সাজেস্ট ওয়েইস টু ইম্প্রুভ দ্য ওভারঅল ফ্লো অ্যান্ড কনসিসটেন্সি অব দিজ সিভি’ প্রম্পট লিখলেই জীবনবৃত্তান্তে থাকা তথ্যগুলো আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে দেবে চ্যাটজিপিটি। এরপর জীবনবৃত্তান্তের তথ্যগুলো কপি করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে সাজিয়ে নিতে হবে।