রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এখন ছাদ বাগান খুবই জনপ্রিয়। সরকারের পক্ষ থেকেও সবাইকে ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে প্রণোদনা। কিন্তু শুধু ছাদ বাগান করলেই কি হবে? নিতে হবে সঠিক যত্ন-পরিচর্যা। ছোট জায়গায় বাগান করার অন্যতম সমস্যা মাটি। অথচ মাটি ভালো না হলে গাছ ভালো হওয়া কার্যত অসম্ভব। কিন্তু কীভাবে উর্বর করবেন মাটি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটিকে উর্বর করার প্রথম ধাপ হল মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, মাটির গঠন ও ধরন বোঝা।
১। জৈব সার ব্যবহার করুন: ধীরে ধীরে মাটির গুণমান উন্নত করতে পাত্রের মাটির সঙ্গে জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন। জৈব সার মাটির হিউমাস এবং জল ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। এটি উদ্ভিদকে ম্যাক্রো-পুষ্টি প্রদান করে। ভারতে সবচেয়ে সহজলভ্য জৈব সার হল গোবর সার। আদর্শ জৈব সার গাঢ়, আর্দ্র হয়। ভাল জৈব সার অপ্রীতিকর গন্ধহীন। সুষম সারকে নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সারে রূপান্তরিত করতে ডালজাতীয় উদ্ভিদের পাতা যোগ করা যেতে পারে।
২। কম্পোস্ট করার চেষ্টা করুন: প্রায় যে কোনো জৈব বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার উপায় হিসেবে কম্পোস্টিং খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। কম্পোস্টিং-এর সবচেয়ে ভালো দিক, এটি জৈব পদার্থের দ্রবণীয় পুষ্টিকে স্থিতিশীল করে এবং মাটিতে হিউমাস গঠন করে। টবের মাটির ওপর কয়েক সেন্টিমিটার পুরু করে এ সার প্রয়োগ করতে হয়।
৩। কেঁচো : এখন মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি-বাদল হচ্ছে। এই ধরনের আবহাওয়াতে কেঁচোর আনাগোনা বেড়ে যায়। তবে এরা বন্ধু প্রাণী। কেঁচো মাটি খুঁড়ে যেমন মাটি উর্বর করে, তেমনই নাইট্রোজেনের জোগান দিয়েও গাছকে পুষ্টি দেয়। তাই কোনো গাছের গোড়ায় যদি দেখেন, অনেক কেঁচো জমা হয়েছে, তবে মেরে না ফেলে বরং তাদের তুলে অন্যান্য গাছের টবে সমান ভাবে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে সব গাছেরই উপকার হবে।
৪। আগাছা দমন : টবের মাটিতে এমনিতেই সীমিত পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। তার উপর যদি আগাছা জন্মায়, তবে তা মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ করে নেয়। এতে উর্বরতা নষ্ট হয় ও গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তাই বাগানের মাটিতে যেন আগাছা না জন্মায় নজর দিতে হবে সে দিকে।
৫। সুষ্ঠু জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা : এখন প্রায় রোজ বিকেলের দিকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই খেয়াল রাখা দরকার টবে যেন অতিরিক্ত জল না জমে। এতে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে, আবার খনিজ পদার্থ ধুয়ে যেতে পারে।