টেস্ট ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে কিংবদন্তি এক ক্রিকেটার জেমস অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়েসী এই পেসার এখনো সুইং দিয়ে ক্রিকেটারদের নাস্তানাবুদ করে চলেছেন। তবে যশস্বী জয়সওয়াল আজ যেন পাত্তাই দিলেন অভিজ্ঞ এই পেসারকে। টানা তিন ছক্কায় বিধ্বস্ত করেছেন অ্যান্ডারসনকে। জয়সওয়ালের ওই তিন ছক্কা যেন পুরো দ্বিতীয় ইনিংসেরই প্রতিচ্ছবি।
ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পাত্তাই দেননি ইংলিশ বোলারদের। আগের দিনই বড় লিডের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল ভারত। জয়সওয়ালের সেঞ্চুরি এসেছিল গতদিনেই। এরপরেই রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে উঠে যান এই ওপেনার। শুভমন গিল ৬৫ আর কুলদীপ যাদব ৩ রানে শুরু করেন চতুর্থ দিনের খেলা।
শুরু থেকেই সাবলীল ভাবে নিজের এবং দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন গিল। রোববার সকালে কুলদীপের সঙ্গে তার জুটি বেন স্টোকসদের কিছুটা হতাশই করেছিল। কিন্তু ইনিংসের ৬৪তম ওভারের শেষ বলে কুলদীপের ডাকে সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৯১ রানে। অধরা থাকল টেস্টে চতুর্থ শতরান। এরপরই ক্রিজে আসেন যশস্বী জয়সওয়াল।
জয়সওয়াল আসার খানিক পরেই আউট হন কুলদীপ। ক্রিজে আসেন সাড়া জাগানো ব্যাটার সরফরাজ। দুজন মিলে রীতিমত শাসনই করেছেন ইংলিশ বোলারদের। এরইমাঝে মাত্র তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টানা দুই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান জয়সওয়াল। বিশাখপত্তমে প্রথম ইনিংসে ২০৯ রানের ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। রাজকোটে তার ব্যাট থেকে আবার ডাবল সেঞ্চুরি এলো। শনিবার শতরান পূর্ণ করার পর বেশি ক্ষণ ব্যাট করতে পারেননি। পিঠে টান লাগায় জয়সওয়ালকে তুলে নেয় ভারতীয় শিবির।
তবে চতুর্থ দিন মাঠে নেমেই শুরু করেছেন তাণ্ডব। অপরাজিত থাকলেন ২১৪ রানে। এটাই টেস্টে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৩১ বলে ডাবল পূর্ণ করেন এ দিন। যশস্বীর ইনিংসটি ১৪টি চার এবং ১২টি ছয় দিয়ে সাজানো। ইংলিশদের বাজবল যেন তাদেরকেই আজ ফিরিয়ে দিয়েছেন জয়সওয়াল।
অপরপ্রান্ত থেকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গটাই পেয়েছেন জয়সওয়াল। প্রথম ইনিংসটা যেখানে শেষ করেছেন, সেখান থেকেই আজ আবার শুরু করলেন সরফরাজ খান। ৭২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটে লম্বা সময়ের জন্যই এসেছেন তিনি। ৬ চার আর ৩ ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
জয়সওয়ালের ডাবল আর সরফরাজ খানের অর্ধশতরান পূর্ণ হওয়ার পর বেশিক্ষণ আর ব্যাট করেনি ভারত। ৪ উইকেটে ৪৩০ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দিলেন রোহিত শর্মা। জয়ের জন্য বেন স্টোকসদের লক্ষ্য ৫৫৭ রান।