হলিউডের দেশে শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘মেগা শো’। জন উইক, জেমস বন্ডের বদলে এবার ব্যাট হাতে অ্যাকশন দেখাবেন বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, তাওহীদ হৃদয়রা। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট ৯টি ভেন্যুতে আয়োজিত হবে ৫৫টি ম্যাচ।
তবে ক্রিকেট ভক্তদের বাড়তি নজর থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই। দেশটির জনপ্রিয় খেলা রাগবি, বাস্কেটবল ও বেসবল। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভাব ছিল তাদের। কিন্তু মাস কয়েকের মধ্যেই চিত্রটা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনটি ভেন্যুতে দেশগুলোকে আতিথেয়তা দেবে তারা।
যেখানে সব থেকে বেশি আলোচনায় আছে নিউইয়র্কের অস্থায়ী নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। তিন মাস আগেও ছিল না এর কোনো অস্তিত্ব। অথচ বিশ্বকাপের সব থেকে বেশি ধারণ-ক্ষমতার স্টেডিয়াম এটিই। গ্যালারিগুলো তৈরি করা হয়েছে ফর্মুলা ওয়ান ট্র্যাকের পাশ থেকে খুলে এনে। যেখানে ৩৪ হাজার দর্শক উপভোগ করবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। বাংলাদেশ, সাউথ আফ্রিকাসহ মোট ৮টি ম্যাচ এখানে আয়োজিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ভেন্যু ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম। যেখানে বাংলাদেশ নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০০৯ সালে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামটিতে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলা হয়েছে বেসবল। ২০২০ সালে মাঠটি আমেরিকান ক্রিকেট এন্টারপ্রাইজ লিজ নিলে শুরু হয় ক্রিকেটের যাত্রা। এরপর মেজর লিগ ক্রিকেটের ফাইনালসহ বেশ কিছু ম্যাচ হয়েছে এখানে। গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ হতে যাওয়া স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ ভেন্যুটি হলো ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রাউয়ার্ড পার্ক স্টেডিয়াম। ২০ হাজার ধারণক্ষমতার ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি দেশটির সব থেকে পুরনো স্টেডিয়াম। এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচের দুটিতেই জয় আছে বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্ব আসরের ৪টি ম্যাচ আয়োজন করতে যাওয়া মাঠে শান্তদের কোনো ম্যাচই নেই।
বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬টি ভেন্যুতে। যেখানে দেশটির সব থেকে প্রাচীন স্টেডিয়াম কেনসিংটন ওভালে ফাইনালসহ ম্যাচ আয়োজিত হবে ৯টি। যার ধারণক্ষমতা ২৮ হাজার।
তবে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ খেলবে দেশটির সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নাস ভ্যাল গ্রাউন্ডে। সবশেষ ২০১৪ এখানে খেলেছিল লাল-সবুজরা। এরপর এখানে হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই মাঠেই ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই মাঠের ধারণ ক্ষমতা ১৮ হাজার।
এ ছাড়া একটি সেমিফাইনালসহ প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৬টি। অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে হবে ৮টি ম্যাচ। ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৬টি ও ব্রায়ান লারা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একটি সেমিফাইনালসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।