ড্রপবক্স, লিংকড ইন ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো বড় বড় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৬০০ কোটির বেশি ডেটা ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এত ব্যাপক আকারের ডেটা ফাঁস এর আগে হয়নি কখনও। শুধু তাই নয়, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের সাইবার হামলা হতে পারে বলেই তাদের আশঙ্কা। খবর ফোর্বসের।
সিকিউরিটি ডিসকভারি ও সাইবারনিউজের গবেষকেরা বলেছেন, নতুন ফাঁস হওয়া এই ডেটাবেজের আকার ১২ টেরাবাইট। বিশাল পরিমাণের এই ডেটা একটি উন্মুক্ত স্টোরেজে পাওয়া গেছে। কোন হ্যাকার বা ডেটা সংগ্রাহক এই ডেটাগুলো একত্রিত করেছে বলে মনে করছেন গবেষক দলের সদস্যরা। তারা বলেন, পরিচয় চুরি, অত্যাধুনিক ফিশিং স্কিম (অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা চুরি করা), সাইবার আক্রমণ, ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল অ্যকাউন্টগুলোয় অননুমোদিত প্রবেশসহ বিভিন্ন ধরনের আক্রমণের জন্য হ্যাকাররা এসব ডেটা ব্যবহার করতে পারে।
গবেষকেরা বলছেন, আগের চুরি করা ও ফাঁসকৃত ডেটার সমন্বয়ই হলো এসব ডেটা। আর এর মধ্যে অনেক ডেটারই পুনরাবৃত্তি রয়েছে। বিভিন্ন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডের সংমিশ্রণ এখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই এটি এখনো একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই আগামী সপ্তাহে সাইবার হামলার বিপুল ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সফটওয়্যার কোম্পানি ইএসইটি এর গ্লোবাল সাইবারসিকিউরিটি অ্যাডভাইসার জেক ম্যুর বলেন, ‘সাইবার অপরাধীরা এই তথ্য দিয়ে কী অর্জন করতে পারে তা আমাদের কখনই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। ভুক্তভোগীদের চুরি হওয়া পাসওয়ার্ডের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, ফিশিং ইমেলগুলোর বিষয়ে সতর্ক হওয়া ও সমস্ত অ্যাকাউন্টে টু–ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।’
সাইবার নিউজ কোম্পানির ফ্রি ‘লিক চেকার’ টুল ব্যবহার করে আপনার তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা জানা যাবে। বিশাল ফাঁস হওয়া ডেটাবেজে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলে তা আপনাকে জানিয়ে দেবে টুলটি।