উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল)। আর এতে প্রবেশ করেছে ঢাকা বিভাগ। নারায়ণগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার (৯ মার্চ) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী পলক নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সক্ষমতা সেবা ‘জীবন’ উদ্বোধন করেন। পরে স্মার্ট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার বনশ্রী এলাকার ৪ হাজার, বাবু বাজার এলাকায় ৬ হাজার, উত্তরা এলাকায় ১৮ হাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১ হাজার, জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় ১০ হাজার, শেরেবাংলা নগর এলাকায় ১৬ হাজার, রমনা এলাকায় ১২ হাজার, খিলগাঁও এলাকায় ৮ হাজার, নীলক্ষেত এলাকায় ১৪ হাজার, মিরপুর এলাকায় ১৫ হাজার উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সক্ষমতা সেবা ‘জীবন’ উদ্বোধন করেন।
একইসঙ্গে গুলশান এলাকায় ১০ হাজার, গেন্ডারিয়া এলাকায় ৩ হাজার, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৩ হাজার, দিয়াবাড়ী এলাকায় ৬ হাজার, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৮ হাজার, মগবাজার এলাকায় ২০ হাজার, বারিধারা এলাকায় ৬ হাজার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৬০০, গাজীপুর জেলায় ৪ হাজার, নরসিংদী জেলায় ২ হাজার ৩০০, মানিকগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার, টাঙ্গাইল জেলায় ৩ হাজার, রাজবাড়ী জেলায় ২ হাজার ৩০০, শরিয়তপুর জেলায় ৩ হাজার, ফরিদপুর জেলায় ৩ হাজার, মাদারীপুর জেলায় ৩ হাজার, কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৬০০ উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সেবার উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় পলক বলেন, বিটিসিএলের লাইফ লাইন হবে প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ‘জীবন’। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই ধারাবাহিকতায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ‘জীবন’ এর বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এর আওতায় ৫ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্য ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৯৯ টাকা ও ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ মাত্র ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।