ছুটিতে যারা ভাবছেন ঢাকাতেই থাকবেন তারা ছুটিতে কাছেই কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকার আশেপাশের দর্শনীয় কয়েকটি স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: যারা পুরোনো স্থাপনা দেখতে ভালোবাসেন তাদের গন্তব্য হতে পারে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। এখানে গেলে চোখে পড়বে সাতটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এই বাড়ির ভেতরে রয়েছে জাদুঘর। অনেকে এই বাড়িটিকে বালিয়াটি প্যালেস নামেও ডাকেন। এই স্থাপনাগুলোর মোট কক্ষ সংখ্যা ২০০ টি। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি যেতে চাইলে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আরিচা বা মানিকগঞ্জগামী বাসে সাটুরিয়া হয়ে যাওয়া যায়।
মহেড়া জমিদার বাড়ি: প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন মহেড়া জমিদার বাড়ি। এর সঙ্গেই রয়েছে মিনি পার্ক, চিড়িয়াখানা, পিকনিক স্পট ও বোট রাইডের ব্যবস্থা। পরিবারের ছোট-বড় সদস্যদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা থেকে। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে যেতে পারেন মহেড়া জমিদার বাড়িতে। নাটিয়াপাড়া বাস ষ্ট্যাণ্ডে নেমে বেবী টেক্সী যোগে মহেরাপাড়া পুলিশ প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আসতে হবে। মহেরা জমিদার বাড়িটিই বর্তমানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
জল ও জঙ্গলের কাব্য: পরিবার নিয়ে অথবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে আসার মতো জায়গা হচ্ছে ঢাকার পাইলট বাড়ি খ্যাত জল ও জঙ্গলের কাব্য রিসোর্ট। এটি গাজীপুর জেলাস্থ টংগীর পুবাইলে ৯০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রকৃতিকে অবিকৃত রেখে বাঁশ আর পাটখড়ি দিয়ে সুনিপুণ ডিজাইনারের মাধ্যমে জল ও জঙ্গলের কাব্যকে আরও নান্দনিক করে সাজানো হয়েছে। একটু নিরবতার খোঁজ করছেন যারা, তাদের ডেসটিনেশনও হতে পারে জল ও জঙ্গলের কাব্য।
নুহাশ পল্লী: ৪০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত নুহাশ পল্লীর নন্দন কানন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমৃদ্ধ নুহাশ পল্লীতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটিতে আসতে পারেন কিছু সময়। এখানে গেলে চোখে পড়বে পদ্মপুকুর, লীলাবতী দীঘি, পাথরের মৎস কন্যা, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণিদের অনুকীর্তিসহ নানা কিছু। গাজীপুর জেলার চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজারের পিরুজালী গ্রামে চলে যান আর দেখে আসুন নুহাশ পল্লী।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক: শিশুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে অবস্থিত এই পার্ক। এর আয়োতন ৩,৬৯০ একর। থাইল্যান্ডের সাফারী ওয়ার্ল্ডের অনুকরণে এটি তৈরি। এখানে বনের উন্মুক্ত পরিবেশে বাঘ, সিংহ, জিরাফ, জেব্রা, হরিণের দেখা পাওয়া যায়।