বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যর্থতার তালিকায় বড় এক অংশ হয়ে থাকবে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। মাঠের পারফরম্যান্সে ছিল একের পর এক হার। আবার মাঠের বাইরে ছিল একাধিক বিতর্ক। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান ইস্যুর সঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। আবার বোলিং কোচ ডোনাল্ডের পদত্যাগ নিয়েও ছিল অনেক রকমের ধোঁয়াশা।
বিশ্বকাপের পর তাই এমন ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে বেশ জোরেশোরেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। লম্বা সময় নিয়ে, একের পর এক সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে যার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বোর্ডের কাছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই প্রতিবেদনের বিস্তারিত সবার সামনে আসেনি।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ না খেলার পেছনে দায়ী হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আরও বলা হয়, টাইগার কোচ চাননি তামিম বিশ্বকাপ দলে থাকুক। এ কারণে বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিতর্ক তৈরি হয়। যার জেরে বিশ্বকাপ দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন তামিম। এমনকি বিশ্বকাপের ভরাডুবির পেছনে বোর্ডের দুই পরিচালকের সংশ্লিষ্টতার কথাও বলা হয়েছে সেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
আজ শনিবার (৯ মার্চ) বোর্ড সভাশেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সামনেও ছিল তদন্ত প্রতিবেদন ইস্যু।
সেখানেই পাপন জানালেন দুই বোর্ড পরিচালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়, ‘আমাকে চেয়ারম্যান একটা রিপোর্টই দিয়েছে। এখানে কোনো পরিচালক দূরে থাক, এমন কোনো লাইনই নেই, শব্দও নেই। এরকম রিপোর্ট তো প্রতিদিনই আসে। আমাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে এখানে কিচ্ছু নেই।’
বোর্ড সভাপতি জানান, ‘আজ (শনিবার) আমি জালাল ভাই, সুজন ও কয়েকজন পরিচালকের সামনে পুরো রিপোর্ট পড়ে শুনিয়েছি। বলেছি দেখেন কোথায় কী আছে। উনারা দেখলেন এরকম কিচ্ছু নেই। যে দুজনের নাম এসেছিল ঐ দুজনকেও পড়ে শুনিয়েছি, দেয়ার ইজ নাথিং। এর বাইরে কেউ কিছু বললে আমাদের করার কিছু থাকে না।’
এসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আকরাম খানের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাপন বলেন, ‘আজ কে জানি আকরামের একটা বক্তব্য পাঠাল। আকরামকে সাথে সাথে পাঠালাম, আকরাম লিখেছে এক্স্যাক্টলি ফেইক নিউজ ভাইয়া। আমি তো আকরামকে অবশ্যই বিশ্বাস করি। ফেইক নিউজ করলে আমার কী করার আছে? যে পরিমাণ নিউজ হয়, আমাদের কাজ কি খালি এসবের উত্তর দেওয়া?’
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পাপনের বক্তব্য, ‘একটা কমিটি করা হয়েছিল। ওরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছে। ওদের সাথে কথা বলে তারা কিছু সাজেশন ও রিকমেন্ডেশন দিয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, সেখানে আসলে এমন কোনো তথ্য নেই যা আমি জানি না বা আপনারা জানেন না। কী আসতে পারে পারফরম্যান্স খারাপের জন্য? যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারবে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে। শেষ মিটিংয়ের পর তো বলেছিলাম আপনাদের। যেসব বিভাগের কাজ, তা শুরু হয়ে গেছে।’