নতুন বছরের শুরুতেই ‘এল ক্লাসিকো’র সাক্ষী হতে যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীরা। রিয়াল মাদ্রিদের পর স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠে গেছে বার্সেলোনাও। আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) ফাইনালের লড়াইয়ে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আল আওয়াল স্টেডিয়ামে।
রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে সেমি-ফাইনালে ওসাসুনার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি ও লামিন ইয়ামাল।
একদিন আগেই স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। নির্ধারিত সময়ের খেলায় ৩-৩ গোল সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত মিনিটের জয় তুলে নেয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
নতুন আঙ্গিকের স্প্যানিশ সুপার কাপের গেল আসরের ফাইনালে রিয়ালকে হারিয়ে প্রতিযোগিতার রেকর্ড শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। আবারও মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি স্প্যানিশ দুই জায়ান্ট ক্লাব। সূচি অনুযায়ী ২০২৪ সালের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’ হওয়ার কথা ২১ এপ্রিল লা লিগায়। তবে স্প্যানিশ সুপার কাপের কল্যানে তার আগেই দুই দলের দ্বৈরথ দেখার সুযোগ পাচ্ছে ক্রীড়ামোদিরা।
এ ছাড়া দুই দলের সামনেই নতুন বছরের শুরুতেই শিরোপার হাতছানি। স্প্যানিশ সুপার কাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের শিরোপার সংখ্যা ১২। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে আছে বার্সা।
এখন পর্যন্ত দু’দলের ২৯৭ ম্যাচের মধ্যে ১২৪ জয় তুলে নিয়েছে বার্সা। আর ১০৯ জয় রিয়ালের। বাকি ৬৪ ম্যাচ ড্রয়ের খাতায়। স্প্যানিশ সুপার কাপে অবশ্য জয়ের পাল্লা ভারী রিয়ালের। ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৯ জয় তাদের। আর কাতালানরা জিতেছে ৫ ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচের ফল ড্র।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টানা আক্রমণে বেশ কয়েকবার দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেও ওসাসুনার জাল ভেদ করতে পারেনি বার্সা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগায় মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। তার বদলি নামেন ১৬ বছর বয়সী ইয়ামাল।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%bf-%e0%a6%b8/
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯তম মিনিটে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। দলকে লিড এনে দেন লেভানদোভস্কি। পরে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন ইয়ামাল।
