’পরীক্ষায় ভালো করার গোপন কৌশল’ভাবছেন পরীক্ষায় ভাল করার জন্য আবার কিসের গোপন কৌশল!যেখানে পরীক্ষার নাম শুনলে কম বেশি সবারই হৃদস্পন্দন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই বলে পরীক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে তো আর হবে না। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ কিন্তু এখানেই। পরীক্ষায় নিজের সেরাটা দিলেই অর্জন করা যায় কাঙ্খিত সাফল্য। এজন্য পরীক্ষার প্রস্তুতিও হওয়া চাই সেরা। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সবাই কিছু না কিছু কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু কয়েকটি টিপস মেনে চললে আপনার প্রস্তুতিটি আরও সহজ ও পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
পরীক্ষায় ভালো করার উপায়:
১। পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে পড়া শুরু করা:
পড়া শুরু করতে হবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে। শুরুতেই মন থেকে পরীক্ষাভীতি ঝেড়ে ফেলতে হবে। পড়াগুলোকে নিজের মতো করে সাজাতে হবে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী কোনদিন কি পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। এতে পড়তে সুবিধা হয়, পড়া মনে থাকেও বেশি।
২। পড়ে না দেখে লেখার অভ্যাস করা:
আমরা যা পড়ি তা কখনোই পুরোপুরি মনে থাকে না। পরীক্ষার খাতায় হুবহু নির্ভুল লেখা তাই অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা। পরীক্ষায় নির্ভুল লেখার জন্য পড়ার পরে না দেখে লেখার অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কোন কিছু পড়ার পর তা না দেখে লিখলে ভুল গুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যায়
৩। ভুল থেকে শেখা:
ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে। তাই ‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছিনা?’ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো সমাধান করলেই পরীক্ষায় ভালো করার হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি অনলাইন ব্যাচ ২০২৩
ফুল সিলেবাস কোর্সে যা যা থাকছে:
প্রতি ক্লাসে ২ জন শিক্ষক পড়াবেন; একজন ক্লাস নিবেন, অন্যজন সমস্যার সমাধান দিবেন
দেশের যেকোনো জায়গায় বসে দেশসেরা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনলাইনে সর্বোচ্চ মানের পড়ালেখার সুযোগ
লাইভ ক্লাসের ভেতরেই পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধা
অনলাইন ব্যাচ নিয়ে বিস্তারিত দেখুন
৪। গ্রুপ স্টাডি করা:
ভালো ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এতে করে পড়াগুলো আয়ত্ত করা যেমন সহজ হয়, তেমনি আলোচনার মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা লাভ করা যায়। গ্রুপ স্টাডি করার ফলে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে।
৫। ক্লাস লেকচার ফলো করা:
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনতে হবে। কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে। তাই নিয়মিত ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হয়।
পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
৬। নোট তৈরী করা:
নোট করে পড়া ভালো ফলাফলের জন্য বেশ কার্যকর। ভালো নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাছাড়া নোট করলে পরীক্ষার আগেই একবার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয়।
সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করে তৈরি করুন আপনার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট অর্জন করার পথ। আজই এনরোল করে শিখুন পড়াশোনা করার নিয়ম, পড়ালেখা রুটিন তৈরি এবং পড়াশোনা মনে রাখার উপায়।
৭। মেমোরি টেকনিক ব্যবহার করা:
কিছু কিছু বিষয় থাকে যা মুখস্ত করতেই হয়। সেক্ষেত্রে মেমোরি টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ছড়া দিয়ে অথবা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে পড়া মনে রাখা যায়। যেমন পর্যায় সারণীর 4A গ্রুপের মৌল গুলো হল: C, Si, Ge, Sn, Pb। এগুলোকে এভাবে মনে রাখা যায়: “কাঁদলে (C) সাইকেল (Si) গেন্জি (Ge) স্যান্ডেল (Sn) পাবে (Pb)”। এক্ষেত্রে ছবি এবং ছকও অনেক কার্যকরী।
৮। খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা:
পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা এবং গোছানো উপস্থাপন শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা অধিক নম্বর পেতে সহায়ক। প্রস্তুতি অনেক ভালো হবার পরও যদি তা খাতায় ঠিকমত উপস্থাপন করা না হয় তবে সেই প্রস্তুতির কোন মূল্য নেই। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও এজন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৯। পড়ার মাঝে বিরতি নেওয়া:
একটানা অনেকক্ষণ পড়ার চেয়ে বিরতি দিয়ে পড়া অনেক বেশি কার্যকর। এক নাগাড়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পড়লে পড়ায় মনযোগ ধরে রাখা যায় না। এ কারনে টানা অনেকক্ষণ না পড়ে প্রতি ২০-২৫ মিনিট পর পর পড়ার মাঝে অন্তত ৫ মিনিট বিরতি দিন। বিরতি নেওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পড়া খুব সহজেই আয়ত্ত করা যায়।
১০। রুটিন বানিয়ে পড়া:
সঠিক প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় নির্দেশনা। তাই রুটিন করে পড়া অত্যন্ত জরুরি্। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় ভাগ করে নিয়ে একটি টাইম রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে করে সকল বিষয় যেমন সমান গুরুত্ব দেয়া যায় তেমনি পড়াটাও সহজতর হয়।
১১। অতিরিক্ত রাত জাগা পরিহার করা:
পরীক্ষার সময় অনেকেরই রাত জেগে পড়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এটা একদমই করা উচিত নয়। মস্তিষ্কে স্মৃতি তৈরীর কাজটি ঘুমের মধ্যে হয়। পরীক্ষার আগের রাতের ঘুম তাই অত্যন্ত জরুরী। লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত রাত জাগা মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন করে। নর্থ টেক্সাসের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত রাত জাগা চোখের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই পরীক্ষার সময় রাত জাগা পরিহার করুন। তার চাইতে রাতে আগে ঘুমিয়ে সকালে উঠে পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।
১২। কঠিন পড়া গুলো ঘুমানোর আগে পড়ার চেষ্টা করা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত কঠিন এবং বর্ণনামূলক পড়া ঘুমানোর আগে পড়া উচিত। এতে করে পড়াটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘুম থেকে উঠার পর পড়াটি মনে করা সহজতর হয়।
১৩। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে না রাখা:
সকল পড়া পরীক্ষার আগের রাতের জন্য জমিয়ে না রেখে প্রতিদিন অল্প অল্প পড়ুন। পরীক্ষার আগের রাতে সকল পড়া একসাথে পড়তে গেলে মানসিক চাপ বাড়বে যা পরীক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্ততি হিসেবে নতুন কিছু না পড়ে আগে যা পড়া হয়েছে তাই রিভাইস করুন।
১৪। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা:
খাবারের সাথে মস্তিষ্কের ক্রিয়াক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে পরীক্ষার সময় চর্বিহীন এবং আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারন এসব খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১৫। নিজেকে যাচাই করা:
পরীক্ষার পূর্বে নিজেই নিজের ছোটখাট টেস্ট নিয়ে নিন। নিজেই তাতে মার্কিং করুন। এতে করে পড়া ভালোমতো হয়েছে কিনা তা যেমন বুঝা যায় তেমনি আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। এই আত্মবিশ্বাস পড়া মনে রাখতে ও পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করে।
“গাইতে গাইতে গায়েন”
১৬। নিজের উপর আস্থা রাখা:
হচ্ছে না, হবে না এ সমস্ত ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যান। বারবার অনুশীলন করুন। পরীক্ষার উত্তরপত্রেও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর লিখুন। পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায় হিসেবে এটিই ছিল আমাদের সর্বশেষ বার্তা।
পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপায়
পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে চরম আরাধ্য। এক্ষেত্রে যে কোনো বিষয়ের উপর ভালো কনসেপ্ট থাকার সাথে সাথে খাতায় কিভাবে উত্তর উপস্থাপন করলে নম্বর ভালো আসে তা জানা থাকাটাও জরুরি। আজকের লেখাটি থাকছে মূলত পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম নিয়েই। লেখাটি পড়ে যেকোনো প্রতিযোগিয়ামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার উপায় গুলো জেনে উপকৃত হবে আশা করি।
১। হাতের লেখা:
পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম হিসেবে প্রথমেই থাকছে হাতের লেখা। হাতের লেখা ভালো হতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে হাতের লেখা পরিষ্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী” অর্থাৎ প্রথমে দর্শনে ভালো হতে হবে পরে গুণের বিচার করা হবে। আর তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা ভালো হলে পরীক্ষকের একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়। সর্বোপরি, সুন্দর ও স্পষ্ট হাতের লেখা পরীক্ষার্থীর সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরী করে যার প্রভাব সম্পূর্ণ খাতার উপরেই পড়ে। কাটা-ছেঁড়া কম করার চেষ্টা করবে, কাটা গেলে একটান দিয়ে কাটবে।
একটি উদাহরণ থেকে বিষয়টি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যেমন -পাঁচ নম্বরের একটি প্রশ্নের একই উত্তর করে, একটি খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্রের চেয়ে একটি সুন্দর হাতের লেখার উত্তরপত্রের নম্বর যদি আধা নম্বরও বেড়ে যায়, তবে পঞ্চাশ পূর্ণমানের একটি পরীক্ষায় উভয় উত্তরপত্রের নম্বরের ব্যবধান হয় পাঁচ। অর্থাৎ একই উত্তর করে খারাপ হাতের লেখার উত্তরপত্র ৩৫ পেলে ভালো হাতের লেখার উত্তরপত্র পায় ৪০। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ভালো হাতের লেখা এ প্লাস পাওয়া না পাওয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে!
২। প্যারা করে লেখা:
উত্তরপত্রে লেখা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরেকটি দিক খেয়াল রেখে উত্তর করা যেতে পারে, তা হল প্যারা করে লেখা। প্যারা করে লিখলে একই সাথে তোমার উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের চোখে পড়ে এবং তোমার উপস্থাপিত তথ্যও সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উত্তর লেখার সময় পয়েন্ট সহকারে প্যারা করে লিখতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে উভয় প্যারার মাঝে দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের দ্বিগুণ হবে।
৩। পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার:
পরীক্ষার খাতায় লেখার স্টাইল করতে অনেকেই পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে। এতে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি খাতার উপস্থাপনার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই তোমরা এমনটি করবে না। খাতা মার্জিন করার নিয়ম হলো একটি ভালো মানের পেন্সিল দিয়ে মার্জিন করা। বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য পরীক্ষার খাতায় নীল কালির কলম অথবা মার্জিনের পেন্সিলটিও ব্যবহার করতে পারো। নানা রকম অতিরঞ্জিত কালি ব্যবহার করলে খাতার সৌন্দর্য নষ্ট হবে এবং তা নম্বর পাওয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। লেখার সময় উপরে ও বামপাশে এক স্কেল এবং নিচে ও ডানপাশে হাফ স্কেল জায়গা ফাঁকা রাখবে।
৪। প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া:
পরীক্ষার সময় ধৈর্য সহকারে প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলো। অনেক শিক্ষার্থীরই অভ্যাস পুরো প্রশ্ন না পড়েই উত্তর করা শুরু করা। সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর। প্রশ্নে যে রকম চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করো। উত্তর উপস্থাপনের সময় প্রশ্নের সাথে প্রসাঙ্গিক উত্তর করার চেষ্টা করো। অযথাই এক কথা বারবার লিখে উত্তর অপ্রাসঙ্গিক করলেও নাম্বার তেমন আসে না! তাই খেয়াল রাখো প্রশ্নে কী চেয়েছে। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না।
৫। কখনো কিছু ছেড়ে আসবে না:
পরীক্ষায় খালি খাতা দিয়ে জমা দিয়ে আসার চাইতে কিছু লিখে আসা অনেক অনেক ভালো। হারাবার তো কিছু নেই, তাই না? খালি খাতা দিলে নিশ্চিত 0 পাবে। তার চাইতে কিছু তো লিখে আসতে পারো। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন:
“একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।”
তাই পাশ ফেলের কথা চিন্তা না করে যতটুকু পারো উত্তর করে আসো।
৬। নিশ্চিত প্রশ্ন সবার আগে:
যেটা পারো, সেটা আগে উত্তর করো। জটিল কাজ আগে করে লাভ নাই। যে উত্তর ভালোভাবে পারো না সেটা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবে না।
৭। গাদা গাদা লুজ শিট নেয়ার প্রতিযোগিতা:
অনেকেরই ধারণা থাকে পরীক্ষায় অনেক লুজ শিট নিয়ে খাতা ভারি হলেই তা বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। এই চিন্তা বাদ দাও। আরবি পরীক্ষা বা বাংলা পরীক্ষায় অনেক সময়ে পরীক্ষকেরা খাতার পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেন। কিন্তু সেগুলো বাদে বাকি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে পাতার পর পাতা ভরাবার মানে নাই। মনে রাখবে, “Don’t work hard, work smart.”
৮। সময় মেপে কাজ করা:
৭টা প্রশ্নের জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় থাকলে সময় থাকলে অবশ্যই ঘড়ি ধরে প্রশ্নপিছু ২০-২২ মিনিট ধরে লিখবে। চেষ্টা করবে পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার করতে, যাতে নিখুঁতভাবে সময়ের হিসাব থাকে। পরীক্ষা শেষে কোনটা ঠিক হলো, কোনটা ভুল হলো তার হিসাব করা একেবারেই বাদ দাও। তোমার বন্ধুর ১০টা হলে তোমার যদি হয় ৪টা হয়, সেটা জেনে কী করবে? সেটা জানার চাইতে না জানাই ভালো। তাই পরীক্ষা শেষে প্রশ্নটাকে নির্বাসনে পাঠাও। প্রশ্ন নিয়ে চিবিয়ে খেলেও যা লিখে এসেছো তা তো আর পাল্টাবে না, তাই না?
৯। আত্মবিশ্বাস:
পরীক্ষার হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল আত্মবিশ্বাস। পরীক্ষার আগে তুমি যা যা পড়েছো তা সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করে আসাটাই মাথায় রাখবে শুধু। আর কিছু নয়! যা শিখে গেলে তা যদি অতিরিক্ত টেনশনে ভুলে গিয়ে লিখে দিয়ে আসতে না পারো তাহলে লাভ নেই। পড়াশোনা আর পরীক্ষা শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়িয়ে আরেকটি কল্পনা করা যায় না। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।
পরীক্ষা ছাড়া যেমন কি পড়াশোনা করলে তা মূল্যায়ন করা যায় না তেমনি পড়াশোনা না করলে পরীক্ষাতেও তুমি যথাযথ মূল্যায়ন পাবেনা। তোমার পড়াশোনার পরিমাণের উপর নির্ভর করবে তোমার পরবর্তী কর্ম জীবনের সফলতা। আর পরীক্ষার হলে একটু সচেতন থাকলে আর যা কিছু পড়েছো তা ভালোভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখে আসতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাবে আশা করা যায়। আর একটি কথা মনে রাখবে,
“Hard work without talent is a shame, but talent without hard work is a tragedy”