শীতের সময়ে বাড়তি উষ্ণতার জন্য প্রয়োজন হয় লেপ-কম্বলের। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার করতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। কারণ কম্বল ধোওয়া কিংবা লেপ রোদে দেওয়া বেশ ঝামেলার। আবার শীতের এই সময়ে রোদের দেখাও মেলে না সবদিন। এখন যদি আপনি জানতে পারেন যে পানি কিংবা রোদ ছাড়াই লেপ-কম্বল পরিষ্কার করা যায় তাহলে কি অবাক হবেন? শুনে অবাক লাগলেও এটি সত্যিই করা সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. বেকিং সোডা ব্যবহার
শীত নিবারণের জন্য মোটা মোটা কম্বল বের করা হয়েছে নিশ্চয়ই? এখন এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমক্ত করা কিন্তু জরুরি। নয়তো সেখানে ময়লা ও জীবাণু জমে আপনার অসুখের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে রোদ কিংবা পানির প্রয়োজন নেই। আপনাকে সাহায্য করতে পারবে বেকিং সোডা। প্রথমে কম্বলটি ভালোভাবে নিচে বিছিয়ে দিন। এরপর ছাঁকনিতে বেকিং সোডা ভালো করে কম্বলের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। আধা ঘণ্টা পর ব্রাশের সাহায্য কম্বলটি ভালো করে ঘঁষে নিন। এভাবে কম্বল পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত হবে।
২. গোলাপজল ও ভিনেগারের স্প্রে
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এবং না ধোওয়ার কারণে অনেক সময় কম্বলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। এর সমাধানে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গোলাপজল ও ভিনেগার। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রথমে একটি স্প্রে বোতল নিয়ে তাতে গোলাপজল ও ভিনেগার মিশিয়ে নেওয়া। এরপর সেই তরল মিশ্রণ কম্বলে ভালো করে স্প্রে করুন। কম্বলটি কিছুক্ষণ খোলা বাতাসে রেখে দিন। এতে কম্বলের দুর্গন্ধ দূর হবে সহজেই।
৩. ভিনেগার ও বেকিং সোডা ব্যবহার
কম্বল পরিষ্কারের আরেকটি চমৎকার উপায় হতে পারে এটি। আপনার বাড়িতে যদি ভিনেগার ও বেকিং সোডা থাকে তাহলে আর চিন্তা করতে হবে না। এগুলো দিয়েই আপনার কম্বল পরিষ্কার করা যাবে সহজে। সেজন্য একটি পাত্রে ভিনেগার, বেকিং সোডা এবং পানি নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর সেই মিশ্রণ কম্বলে ছিটিয়ে দিন। এখন তোয়ালে দিয়ে ক্যাসেরোলের ঢাকনা বা সীসা মুড়ে তার সাহায্যে কম্বলটি ভালোভাবে ঘঁষে নিন। তারপর শুকানোর জন্য বাতাসে ছড়িয়ে দিন। এতে কম্বল পরিষ্কার হবে।