মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী সাজিয়েছে বাংলাদেশ। যার দরুন প্রথম ইনিংসে সফরকারী প্রোটিয়ারা ২০২ রানের লিডও পেয়ে গেছে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে মাত্র ৫৯ রানে। তারই মাঝে মুশফিকুর রহিম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রানের মাইলফলক পূর্ণ করেছেন।
আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ক্রিজে অপরাজিত আছেন মুশফিক ও মাহমুদুল হাসান জয় (৩৮)। ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০১ রান, এখনও তারা সফরকারীদের চেয়ে ১০১ রানে পিছিয়ে। মুশফিক অপরাজিত আছেন ৩১ রানে, ২৮ রান করা অবস্থায়ই টেস্টে তার রান ৬০০০ হয়েছে। মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে তার দরকার ছিল ৩৯ রান।
তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১ রানে আউট হয়ে যান মুশফিক। ফলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করতে তাকে দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। টেস্টে ৬০০০ রান করতে মিস্টার ডিফেন্ডেবল খেলেছেন ৯৩ টেস্ট। এখন পর্যন্ত ৩৮.৪৮ গড়ে ফরম্যাটটিতে তার রান ৬০০৩। টেস্টে ১১টি সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটি করেছেন মুশফিক। এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ছয় হাজার বা তার বেশি রান করেছেন ৭৪ জন।
এ তালিকায় তার পরই অবস্থান তামিম ইকবালের। বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাবেক এই অধিনায়ক ৭০ টেস্টে ৫১৩৪ রান করেছেন। ১০ সেঞ্চুরির সঙ্গে তার ফিফটি ৩১টি। টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় সাকিব আল হাসান আছেন তিন নম্বরে। চলমান টেস্ট দিয়ে ফরম্যাটটিকে বিদায় বলতে চাওয়া এই অলরাউন্ডার ৭১ টেস্টে ৪৬০৯ রান করেছেন। এই ফরম্যাটে ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১টি ফিফটি করেছেন সাকিব।
এ ছাড়া মুমিনুল হক ৬৬ টেস্টে ১৩ সেঞ্চুরি ও ১৯ ফিফটি নিয়ে টেস্টে ৪২৬৯ রান করেছেন। যদিও মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংসেই চূড়ান্ত ব্যর্থ ‘লিটল ব্র্যাডম্যান’-খ্যাত মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে নারী ক্রিকেটের প্রধান হাবিবুল বাশার ৫০ টেস্টে ৩০২৬ রান করেছেন।